আকাশবাণীর মহিষাসুরমর্দ্দিনী Full Lyrics
Akashbanir Mahishasur Mardini Full Lyrics
Akashbanir Mahishasur Mardini Full Lyrics
या चण्डी मधुकैटभादिदैत्यदलनी या माहिषोन्मूलिनी
या धूम्रेक्षणचण्डमुण्डमथनी या रक्तबीजाशनी।
शक्तिः शुम्भनिशुम्भदैत्यदलनी या सिद्धिदात्री परा
सा देवी नवकोटिमूर्तिसहिता मां पातु विश्वेश्वरी ।।
আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জীর, ধরণীর বহিরাকাশে অন্তরিত মেঘমালা, প্রকৃতির অন্তরাকাশে জাগরিত জ্যোতির্ময়ী জগন্মাতার আগমনবার্তা। আনন্দময়ী মহামায়ার পদধ্বনি অসীম ছন্দে বেজে উঠে রূপলোক ও রসলোকে আনে নবভাবমাধুরীর সঞ্জীবন। তাই আনন্দিতা শ্যামলীমাতৃকার চিন্ময়ীকে মৃন্ময়ীতে আবাহন। আজ চিৎশক্তিরূপিনী বিশ্বজননীর শারদস্মৃতিমণ্ডিতা প্রতিমা মন্দিরে-মন্দিরে ধ্যানবোধিতা।
सिंहस्था शशिशेखरा मरकतप्रख्या चतुर्भिर्भुर्जै:
शङ्खं चक्रधनु:शरंस्च दधती नेत्रैस्त्रिभि: शोभिता।
आमुक्ताङ्गद-हार-कङ्कण-रणत्-काञ्चीक्क्न्नूपुरा
दुर्गा दुर्गतिहारिणी, भबतु नो रत्नोल्लसत्कुण्डला।।
মহামায়া সনাতনী, শক্তিরূপা, গুণময়ী। তিনি এক, তবু প্রকাশ বিভিন্ন – দেবী নারায়ণী, আবার ব্রহ্মশক্তিরূপা ব্রহ্মাণী, কখনো মহেশ্বেরী রূপে প্রকাশমানা, কখনো বা নির্মলা কৌমারী রূপধারিণী, কখনো মহাবজ্ররূপিণী ঐন্দ্রী, উগ্রা শিবদূতী, নৃমুণ্ডমালিনী চামুণ্ডা, তিনিই আবার তমোময়ী নিয়তি। এই সর্বপ্রকাশমানা মহাশক্তি পরমাপ্রকৃতির আবির্ভাব হবে, সপ্তলোক তাই আনন্দমগ্ন।
বাজলো তোমার আলোর বেণু
বাজলো তোমার আলোর বেণু
মাতলো যে ভুবন,
আজ প্রভাতে সে সুর শুনে খুলে দিনু মন।
অন্তরে যা লুকিয়ে রাজে
অরুণবীণায় সে সুর বাজে,
এই আনন্দযজ্ঞে সবার মধুর আমন্ত্রণ।
আজ সমীরণ, আলোয় পাগল
নবীন সুরের বীণায়,
আজ শরতের আকাশবীণা
গানের মালা বিলায়,
তোমায় হারা জীবন মম
তোমারই আলোয় নিরুপম,
ভোরের পাখি উঠে গাহি তোমারই বন্দন।
হে ভগবতী মহামায়া, তুমি ত্রিগুণাত্মিকা। তুমি রজোগুণে ব্রহ্মার গৃহিণী বাগ্দেবী, সত্ত্বগুণে বিষ্ণুর পত্নী লক্ষ্মী, তমোগুণে শিবের বণিতা পার্বতী। আবার ত্রিগুণাতীত তুরীয়াবস্থায় তুমি অনির্বচনীয়া, অপার মহিমময়ী, পরব্রহ্মমহিষী। দেবী ঋষি কাত্যায়নের কন্যা কাত্যায়নী, তিনি কন্যাকুমারী আখ্যাতা দুর্গি, তিনিই আদিশক্তি আগমপ্রসিদ্ধমূর্তিধারী দুর্গা, তিনি দাক্ষায়ণী সতী। দেবী দুর্গা নিজদেহসম্ভূত তেজোপ্রভাবে শত্রুদহনকালে অগ্নিবর্ণা, অগ্নিলোচনা। এই ঊষালগ্নে, হে মহাদেবী, তোমার উদ্বোধনে বাণীর ভক্তিরসপূর্ণ বরণকমল আলোকশতদল মেলে বিকশিত হোক দিকে দিগন্তে। হে অমৃতজ্যোতি, হে মা দুর্গা, তোমার আবির্ভাবে ধরণী হোক প্রাণময়ী। জাগো, জাগো, জাগো মা।
জাগো দুর্গা
জাগো, তুমি জাগো,
জাগো দুর্গা, জাগো দশপ্রহরণধারিণী
অভয়া শক্তি, বলপ্রদায়িনী, তুমি জাগো।
প্রণমি বরদা, অজরা, অতুলা
বহুবলধারিণী, রিপুদলবারিণী, জাগো মা,
শরণময়ী, চণ্ডিকা, শঙ্করী জাগো, জাগো মা
জাগো অসুরবিনাশিনী, তুমি জাগো।
দেবী চণ্ডিকা সচেতন চিন্ময়ী, তিনি নিত্যা, তাঁর আদি নেই, তাঁর প্রাকৃত মূর্তি নেই, এই বিশ্বের প্রকাশ তাঁর মূর্তি। নিত্যা হয়েও অসুরপীড়িত দেবতারক্ষণে তাঁর আবির্ভাব হয়। দেবীর শাশ্বত অভয়বাণী –
इत्थं यदा यदा बाधा दानवोत्था भविष्यति।
तदा तदावतीर्याहं करिष्याम्यरिसंक्षयम्।।
পূর্বকল্প অবসানের পর প্রলয়কালে সমস্ত জগৎ যখন কারণসলিলে পরিণত হলো, ভগবান বিষ্ণু অখিলশক্তির প্রভাব সংহত ক’রে সেই কারণসমুদ্রে রচিত অনন্তশয্যা‘পরে যোগনিদ্রায় হলেন অভিভূত। বিষ্ণুর যোগনিদ্রার অবসানকালে তাঁর নাভিপদ্ম থেকে জেগে উঠলেন ভাবীকল্পের সৃষ্টিবিধাতা ব্রহ্মা। কিন্তু বিষ্ণুর কর্ণমূলজাত মধুকৈটভ অসুরদ্বয় ব্রহ্মার কর্ম-অস্তিত্ব বিনাশে উদ্যত হতে পদ্মযোনি ব্রহ্মা যোগনিদ্রায় মগ্ন সর্বশক্তিমান বিশ্বপাতা বিষ্ণুকে জাগরিত করবার জন্য জগতের স্থিতিসংহারকারিণী বিশ্বেশ্বরী জগজ্জননী হরিনেত্রনিবাসিনী নিরূপমা ভগবতীকে স্তবমন্ত্রে করলেন উদ্বোধিত। এই ভগবতী বিষ্ণুনিদ্রারূপা মহারাত্রি যোগনিদ্রা দেবী।
ওগো আমার আগমনী
ওগো আমার আগমনী আলো,
জ্বালো প্রদীপ জ্বালো।
এই শারদের ঝঞ্ঝাবাতে
নিশার শেষে রুদ্রবাতে,
নিভল আমার পথের বাতি
নিভল প্রাণের আলো।
ওগো আমার পথ-দেখানো আলো
জীবনজ্যোতি রূপের সুধা ঢালো,
দিক-হারানো শঙ্কাপথে আসবে
অরুণ রাতে আসবে কখন আসবে,
টুটবে পথের নিবিড় আঁধার
সকল দিশার কালো,
বাজাও আলোর কণ্ঠবীণা
ওগো পরম ভালো।
त्वं स्वाहा त्वं स्वधा त्वं हि वषट्कार: स्वरात्मिका।
सुधा त्वमक्षरे नित्ये त्रिधा मात्रात्मिका स्थिता।
अर्धमात्रास्थिता नित्या यानुच्चार्या विशेषत:।
त्वमेव सा त्वं सावित्री त्वं देबिजननी परा।
त्वयैतद्धार्यते सर्बं त्वयैतत्सृज्यते जगत्।
त्वयैतत्पाल्यते देवि त्वमत्स्यन्ते च सर्वदा।।
विसृष्टौ सृष्टिरूपा त्वं स्थितिरूपा च पालने।
तथा संहृतिरुपान्ते जगतोsस्य जगन्मये।।
महाविद्या महामाया महामेधा महास्मृति:।
महामोहा च भवती महादेवी महासुरी।।
प्रकृतिस्त्वं च सर्वस्य गुणत्रयविभाविनी।
कालरात्रिर्महारात्रिर्मोहरात्रिश्च दारुणा।।
त्वं श्रीस्त्वमीश्वरी त्वं ह्रीस्त्वं बुद्धिर्बोधलक्षणा।
लज्जा पुष्टिस्तथा तुष्टिस्त्वं शान्ति: क्षान्तिरेव च।।
खड्गिनी शूलिनी घोरा गदिनी चक्रिणि तथा।
शंखिनी चापिनी बाणभुशुण्डीपरिघायुधा।।
सौम्यासौम्यतराशेषसौम्येभ्यस्त्वतिसुन्दरी।
परापराणां परमा त्वमेव परमेश्वरी।।
তব অচিন্ত্য
তব অচিন্ত্য রূপচরিত মহিমা
নবশোভা নবধ্যানরূপায়িত প্রতিমা,
বিকশিল জ্যোতি প্রীতিমঙ্গলবরণে।
তুমি সাধনঘন ব্রহ্ম, গোধন সাধনী,
তব প্রেমনয়নভাতি নিখিল তারণী
কনককান্তি ঝরিছে কান্ত বদনে।
হে মহালক্ষ্মী, জননী, গৌরী, শুভদা,
জয়সঙ্গীত ধ্বনিছে তোমারই ভুবনে।
তখন প্রলয়ান্ধকাররূপিণী তামসী দেবী এই স্তবে প্রবুদ্ধা হয়ে বিষ্ণুর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ থেকে বাহির হলেন, বিষ্ণুর যোগনিদ্রা ভঙ্গ হল। বিষ্ণু সুদর্শনচক্রচালনে মধুকৈটভের মস্তক ছিন্ন করলেন। পুনরায় ব্রহ্মা ধ্যানমগ্ন হলেন। এদিকে কালান্তরে দুর্ধর্ষ দৈত্যরাজ মহিষাসুরের পরাক্রমে দেবতারা স্বর্গের অধিকার হারালেন। অসুরপতির অত্যাচারে দেবলোক বিষাদব্যথায় পরিগ্রহণ হয়ে গেল। দেবগণ ব্রহ্মার শরণাপন্ন হলেন। ব্রহ্মার বরেই মহিষাসুর অপরাজেয় – তাঁর দ্বারা দৈত্যরাজের ক্ষয় সম্ভবপর নয় জেনে তাঁরই নির্দেশে অমরবৃন্দ কমলযোনি বিধাতাকে মুখপাত্র করে বৈকুণ্ঠে গিয়ে দেখলেন, হরিহর আলাপনে রত। ব্রহ্মা স্বমুখে নিবেদন করলেন মহিষাসুরের দুর্বিসহ অত্যাচারের কাহিনী। স্বর্গভ্রষ্ট দেবতাকুলের এই বার্তা শুনলেন তাঁরা। শান্ত যোগীবর মহাদেবের সুগৌর মুখমণ্ডল ক্রোধে রক্তজবার মত রাঙাবরণ ধারণ করলে, আর শঙ্খচক্রগদাপদ্মধারী নারায়ণের আনন ভ্রুকূটিকুটিল হয়ে উঠল। তখন মহাশক্তির আহ্বানে গগনে-গগনে নিনাদিত হল মহাশঙ্খ। বিশ্বযোনি বিষ্ণু রুদ্রের বদন থেকে তেজোরাশি বিচ্ছুরিত হল, ব্রহ্মা ও দেবগণের আনন থেকে তেজ নির্গত হল। এই পর্বতপ্রমাণ জ্যোতিপুঞ্জ প্রজ্জ্বলিত হুতাশনের ন্যায় দেদীপ্যমান কিরণে দিঙ্মণ্ডল পূর্ণ করে দিলে। ওই তেজরশ্মি একত্র হয়ে পরমা রূপবতী দিব্যশ্রী মূর্তি উৎপন্ন হল। তিনি জগন্মাতৃকা মহামায়া। এই আদ্যাদেবী ঋক্মন্ত্রে ঘোষণা করলেন আত্মপরিচয় –
अहं रुद्रेभिर्वसुभिश्चराम्यहमादित्यैरुत विश्वदेवैः ।
अहं मित्रावरुणोभा बिभर्म्यहमिन्द्राग्नी अहमश्विनोभा ॥
अहं सोममाहनसं बिभर्म्यहं त्वष्टारमुत पूषणं भगम् ।
अहं दधामि द्रविणं हविष्मते सुप्राव्ये यजमानाय सुन्वते ॥
अहं राष्ट्री संगमनी वसूनां चिकितुषी प्रथमा यज्ञियानाम् ।
तां मा देवा व्यदधुः पुरुत्रा भूरिस्थात्रां भूर्यावेशयन्तीम् ॥
मया सो अन्नमत्ति यो विपश्यति यः प्राणिति य ईं शृणोत्युक्तम् ।
अमन्तवो मां त उप क्षियन्ति श्रुधि श्रुत श्रद्धिवं ते वदामि ॥
अहमेव स्वयमिदं वदामि जुष्टं देवेभिरुत मानुषेभिः ।
यं कामये तंतमुग्रं कृणोमि तं ब्रह्माणं तमृषिं तं सुमेधाम् ॥
अहं रुद्राय धनुरा तनोमि ब्रह्मद्विषे शरवे हन्तवा उ ।
अहं जनाय समदं कृणोम्यहं द्यावापृथिवी आ विवेश ॥
अहं सुवे पितरमस्य मूर्धन्मम योनिरप्स्वन्तः समुद्रे ।
ततो वि तिष्ठे भुवनानु विश्वोतामूं द्यां वर्ष्मणोप स्पृशामि ॥
अहमेव वात इव प्र वाम्यारभमाणा भुवनानि विश्वा ।
परो दिवा पर एना पृथिव्यैतावती महिना सं बभूव ॥
অপূর্ব স্ত্রীমূর্তি মহাশক্তি দেবগণের অংশসম্ভূতা, দেবগণের সমষ্টিভূত তেজোপিণ্ড এক বরবর্ণিনী শক্তিস্বরূপিণী দেবীমূর্তি ধারণ করলে। এই দেবীর আনন শ্বেতবর্ণ, নেত্র কৃষ্ণবর্ণ, অধরপল্লব আরক্তিম ও করতলদ্বয় তাম্রাভ। তিনি কখনো বা সহস্রভুজা, কখনো বা অষ্টাদশভুজা রূপে প্রকাশিত হতে লাগলেন। এই ভীমকান্তরূপিণী দেবী ত্রিগুণা মহালক্ষ্মী, তিনিই আদ্যামহাশক্তি। মহাদেবীর মহামহিমময় আবির্ভাবে বরণগীত ধ্বনিত হয়ে উঠল।
অখিল বিমানে
অখিল বিমানে তব জয়গানে যে সামরব,
বাজে সেই সুরে সোনার নুপূরে নিত্যে নব।
হে আলোর আলো, তিমির মিলাল
তব জ্যোতি সুধা চেতনা বিলাল,
রাগিণী দেশীরে গাহিল মধুরে সে বৈভব।
जयन्ती मङ्गलाकाली भद्रकाली कपालिनी ।
दुर्गा शिवा क्षमा धात्री स्वाहा स्वधा नमोऽस्तु ते ॥
দেবীর আবির্ভাবের এই শুভবার্তা প্রচারিত হলো। সকল দেবদেবী মহাদেবীকে বরণ করলেন গীতিমাল্যে, সেবা করলেন রাগচন্দনে। জগন্মাতা চণ্ডিকা উপাসকের ধনদাত্রী, ব্রহ্মচৈতন্যস্বরূপা সর্বোত্তম মহিমা। মহাদেবী অন্তর্যামীরূপে ব্যপ্ত হয়ে আছেন দ্যুলোক-ভূলোক। ভুবনমোহিনী সর্ববিরাজমানা জগদীশ্বরী, আপন মহিমায় দ্যাবাপৃথিবী ও সৃষ্টির মধ্যে পরিব্যপ্ত হয়ে অবস্থান করেন পরমচৈতন্যরূপা। মানবের কল্যাণে সর্বমঙ্গলা হ’ন উদ্বুদ্ধা।
শুভ্র শঙ্খরবে
শুভ্র শঙ্খরবে সারা নিখিল ধ্বনিত,
আকাশতলে অনিলে-জলে, দিকে-দিগঞ্চলে
সকললোকে, পুরে, বনে-বনান্তরে নৃত্যগীতছন্দে নন্দিত।
শরৎপ্রকৃতি উল্লাসি তব গানে
চিরসুন্দর, চিরসুন্দর, চিতসুন্দর বন্দনরাগে,
ত্রিলোকে যোগে সুরন্ময়ী আনন্দে।
মহাশক্তিরূপা মঞ্জুলশোভা জাগে আনন্দে
মা যে কল্যাণী সদা রাজে,
সদা সুখদা, সদা বরদা, সদা জয়দা
ক্ষেমঙ্করী, সুধা রাজে।
অসুরনাশন দশপ্রহরণভুজা রাগে
রণিত বীণা বেণু, মধু ললিত শমিত তানে
শুভ আরতি ঝংকৃত ভুবনে,
নবজ্যোতি রাগে, জ্যোতি অলঙ্কারে,
তানে-তানে ওঠে গীতি, সুধারসঘন শান্তি
ঝনঝন জয়গানে।
দেবী নিত্যা, তথাপি দেবগণের কার্যসিদ্ধিহেতু সর্বদেবশরীরজ তেজঃপুঞ্জ থেকে তখন প্রকাশিত হয়েছেন ব’লে তাঁর এই অভিনব প্রকাশ বা আবির্ভাবই মহিষমর্দিনীর উৎপত্তিরূপে খ্যাত হল। দেবী সজ্জিতা হলেন অপরূপ রণচণ্ডী মূর্তিতে। হিমাচল দিলেন সিংহবাহন, বিষ্ণু দিলেন চক্র, পিনাকপাণি শঙ্কর দিলেন শূল, যম দিলেন তাঁর দণ্ড, কালদেব সুতীক্ষ্ণ খড়্গ, চন্দ্র অষ্টচন্দ্র শোভা চর্ম দিলেন, ধনুর্বাণ দিলেন সূর্য, বিশ্বকর্মা অভেদবর্ম, ব্রহ্মা দিলেন অক্ষমালা-কমণ্ডলু, কুবের রত্নহার। সকল দেবতা মহাদেবীকে নানা অলঙ্কারে অলঙ্কৃত ও বিবিধপ্রহরণে সুসজ্জিত করে অসুরবিজয়যাত্রায় যেতে প্রার্থনা করলেন। রণদুন্দুভিধ্বনিতে বিশ্বসংসার নিনাদিত হতে লাগল। যাত্রার পূর্বে সুরনরলোকবাসী সকলেই দশপ্রহরণধারিণী দশভুজা মহাশক্তিকে ধ্যানমন্ত্রে করলেন অভিবন্দনা।
जटाजूतसमायुक्तामर्धेन्दुकृतशेखराम्।
लोचनत्रयसंयुक्तां पुर्णेन्दुसोद्रिशाननाम्।।
अतसीपुश्पबर्णाभां सुप्रतिष्ठां सुलोचनाम्।
नबयौबनसम्पन्नां सर्बाभरणभुशिताम्।।
सुचारुदशनां त्वदत् पीनोन्नत-पयोधराम्।
त्रिभङ्गस्थानसंस्थानां महिषासुरमर्दिनीम्।।
म्र्नलायत-संस्पर्श-दशबाहुसमन्विताम्।
त्रिशूलं दक्षिणे ध्येयं खर्गं चक्रं क्रमादध:।।
तीख्नबाणं तथा शक्तिं दख्शिणेषु बिचिन्तयेत्।
खेटकं पूर्णचापञ्च पाशमङ्कुशमेब च।।
घण्टां बा परशुम् बापि बामत: सन्निबेशेयेत्।
अधस्तानन्महिषं तद्वद्विशिरक्षं प्रदर्शयेत्।।
रक्तारक्तीकृतङ्गंच रक्तबिस्फुरितेखनम्।
बेष्तितं नागपाशेन भ्रूकुटि-भीषणाननम्।।
किन्चिदुर्द्धं तथा बाममन्गुषं महिशोपरि।
देब्यास्तु दक्षिणं पादं समं सिंहोपरि स्थितम्।।
स्तूयमानञ्च तद्रूपममरै: सन्निबेशयेत्।
प्रचण्डबेदनां देबीं सर्बदां बलप्रदां।।
उग्रचण्डा प्रचण्डा च चण्डोग्रा चण्डनायिका।
चण्डा चण्डबती चैब चण्डरूपाति चण्डिका।।
आभि: चक्तिभिष्टाभि: सततं परिबेष्टिताम्।
चिन्तयेज्जगतां धात्रीं धर्मकामार्थमोखदां।।
जयन्ती मङ्गलाकाली भद्रकाली कपालिनी ।
दुर्गा शिवा क्षमा धात्री स्वाहा स्वधा नमोऽस्तु ते ॥
দেবী অষ্টাদশভুজামূর্তি পরিগ্রহ করে শঙ্খে দিলেন ফুৎকার। দেবীর রণ-আহ্বানশব্দ অনুসরণ করে সসৈন্যে ধাবমান হল মহাবলশালী মহিষাসুর। অসুররাজ লক্ষ্য করলেন মহালক্ষ্মীদেবীর তেজোপ্রভায় ত্রিলোক জ্যোতির্ময়, তাঁর মুকুট গগনচুম্বন করছে, পদভারে পৃথ্বী আনতা, আর ধনুকটঙ্কারে রসাতল প্রকম্পিত। দেবসেনাপতি মহাশক্তির জয়মন্ত্রের গুণে দেবীকে দান করলেন মহাপ্রীতি।
নমো চণ্ডী
নমো চণ্ডী, নমো চণ্ডী, নমো চণ্ডী।
জাগো রক্তবীজনিকৃন্তিনী, জাগো মহিষাসুরবিমর্দিনী,
উঠে শঙ্খমন্দ্রে অভ্রবক্ষ শঙ্কাশননে চণ্ডী।
তব খড়্গশক্তি কৃতকৃতান্ত শত্রুশাতন তন্দ্রী
নত সিংহবাহিনী ঘনহুংকারে ইন্দ্রাদি চমূতন্দ্রী,
তুমি রণকতন্ত্র টঙ্কারে হানো খরকলম্বজলে
সব রথ তুরঙ্গ ছিন্নছিন্ন সুতীক্ষ্ণ করবলে,
নাচো ধূম্রনেত্র দনুজমুণ্ড চক্রপাতনে খণ্ডী
তব তাতা থৈ তাতা থৈ প্রলয় নৃত্য ধ্বংসে বাঁধনগণ্ডী।
দেবীর সঙ্গে মহিষাসুরের প্রবল সংগ্রাম আরম্ভ হল। দেবীর অস্ত্রপ্রহারে দৈত্যসেনা ছিন্নভিন্ন হতে লাগল। মহিষাসুর ক্ষণে-ক্ষণে রূপ পরিবর্তন ক’রে নানা কৌশল বিস্তার করলে। মহিষ থেকে হস্তীরূপ ধারণ করলে, আবার সিংহরূপী দৈত্যের রণোন্মত্ততা দেবী প্রশমিত করলেন। পুনরায় নয়নবিমোহন পুরুষবেশে আত্মপ্রকাশ করলে ওই ঐন্দ্রজালিক। দেবীর রূঢ় প্রত্যাখ্যান পেয়ে আবার মহিষমূর্তি গ্রহণ করলে। রণবাদ্য দিকে দিগন্তরে নিনাদিত, চতুরঙ্গ নিয়ে অসুরেশ্বর দেবীকে পরাজিত করবার মানসে উল্লসিত। দেবীর বাহন সিংহরাজ দাবাগ্নির মত সমস্ত রণক্ষেত্রে শত্রুনিধনে দুর্নিবার হয়ে উঠল। নানাপ্রহরণধারিণী দেবী দুর্গা মধু পান করতে করতে মহিষরূপকে সদম্ভে বললেন,
गर्ज गर्ज क्षणं मूढ मधु यावत्पिबाम्यहम् ।
मया त्वयि हतेऽत्रैव गर्जिष्यन्त्याशु देवताः ।।
দেবতাগণ সানন্দে দেখলেন, দুর্গা মহিষাসুরকে শূলে বিদ্ধ করেছেন, আর খড়্গনিপাতে দৈত্যের মস্তক ভূলুণ্ঠিত। তখন অসুরনাশিনী দেবী মহালক্ষ্মীর আরাধনাগীতিসুষমা দ্যাবাপৃথিবীতে পরিব্যাপ্ত হল।
নিখিল প্রাণের বীণা
মাগো, তব বীণে সঙ্গীত প্রেম ললিত,
নিখিল প্রাণের বীণা তারে তারে রণিত
সকল রোদন সেই সুরে গেল মরিয়া।
কালি কালি যত জমেছিল দুখযামিনী
ঊষার মূরতি ধরিয়া বাহির’ রাগিনী।
জীবন ছিল আলোকসুধায় ধরি তাই।
হে দেবী চণ্ডিকা, তোমার পুণ্য স্তবগাথা ঐশ্বর্য, সৌভাগ্য, আরোগ্য, শত্রুহানি ও পরম মোক্ষলাভের উপায়। তোমার স্তবমন্ত্রে মানবলোকে জাগরিত হোক ভূমানন্দের অপূর্ব প্রেরণা।
देवि प्रपन्नार्तिहरे प्रसीद
प्रसीद मातर्जगतोऽखिलस्य ।
प्रसीद विश्वेश्वरि पाहि विश्वं
त्वमीश्वरी देवि चराचरस्य ।।
आधारभूता जगतस्त्वमेका
महीस्वरूपेण यतः स्थितासि ।
अपां स्वरूपस्थितया त्वयैत-
दाप्यायते कुत्स्नमलङ्घयवीर्ये ।।
त्वं वैष्णवीशक्तिरनन्तवीर्या
विश्वस्य बीजं परमासि माया ।
सम्मोहितं देवि समस्तमेत-
त्वं वै प्रसन्ना भुवि मुक्तिहेतुः ।।
विद्याः समस्तास्तव देवि भेदाः
स्त्रियः समस्ताः सकला जगत्सु ।
त्वयैकया पूरितमम्बयैतत्
का ते स्तुतिः स्तव्यपरा परोक्तिः ।।
सर्वभूता यदा देवी स्वर्गमुक्तिप्रदायिनी ।
त्वं स्तुता स्तुतये का वा भवन्तु परमोक्तयः ।।
सर्वस्य बुद्धिरूपेण जनस्य हृदि संस्थिते ।
स्वर्गापवर्गदे देवि नारायणि नमोऽस्तु ते ।।
कलाकाष्ठादिरूपेण परिणामप्रदायिनि ।
विश्वस्योपरतौ शक्ते नारायणि नमोऽस्तु ते ।।
सर्वमङ्गलमाङ्गल्ये शिवे सर्वाथर्साधिके ।
शरण्ये त्र्यम्बके गौरि नारायणि नमोऽस्तु ते ।।
सृष्टिस्थितिविनाशानां शक्तिभूते सनातनि ।
गुणाश्रये गुणमये नारायणि नमोऽस्तु ते ।।
शरणागतदीनार्तपरित्राणपरायणे ।
सर्वस्यार्तिहरे देवि नारायणि नमोऽस्तु ते ।।
हंसयुक्तविमानस्थे ब्रह्माणीरूपधारिणि ।
कौशाम्भःक्षरिके देवि नारायणि नमोऽस्तु ते ।।
त्रिशूलचन्द्राहिधरे महावृषभवाहिनि ।
माहेश्वरीस्वरूपेण नारायणि नमोऽस्तुते ।।
मयूरकुक्कुटवृते महाशक्तिधरेऽनघे ।
कौमारीरूपसंस्थाने नारायणि नमोऽस्तु ते ।।
शङ्खचक्रगदाशार्ङ्गगृहीतपरमायुधे ।
प्रसीद वैष्णवीरूपे नारायणि नमोऽस्तु ते ।।
गृहीतोग्रमहाचक्रे दंष्ट्रोद्धृतवसुन्धरे ।
वराहरूपिणि शिवे नारायणि नमोऽस्तु ते ।।
नृसिंहरूपेणोग्रेण हन्तुं दैत्यान् कृतोद्यमे ।
त्रैलोक्यत्राणसहिते नारायणि नमोऽस्तु ते ।।
किरीटिनि महावज्र सहस्रनयनोज्ज्वले ।
वृत्रप्राणहरे चैन्द्रि नारायणि नमोऽस्तु ते ।।
शिवदूतीस्वरूपेण हतदैत्यमहाबले ।
घोररूपे महारावे नारायणि नमोऽस्तु ते ।।
दंष्ट्राकरालवदने शिरोमालाविभूषणे ।
चामुण्डे मुण्डमथने नारायणि नमोऽस्तु ते ।।
लक्ष्मि लज्जे महाविद्ये श्रद्धे पुष्टि स्वधे ध्रुवे ।
महारात्रि महाऽविद्ये नारायणि नमोऽस्तु ते ।।
मेधे सरस्वति वरे भूति बाभ्रवि तामसि ।
नियते त्वं प्रसीदेशे नारायणि नमोऽस्तुते ।।
सर्वस्वरूपे सर्वेशे सर्वेशक्तिसमन्विते ।
भयेभ्यस्त्राहि नो देवि दुर्गे देवि नमोऽस्तु ते ।।
एतत्ते वदनं सौम्यं लोचनत्रयभूषितम् ।
पातु नः सर्वभीतिभ्यः कात्यायनि नमोऽस्तु ते ।।
ज्वालाकरालमत्युग्रमशेषासुरसूदनम् ।
त्रिशूलं पातु नो भीतेर्भद्रकालि नमोऽस्तु ते ।।
हिनस्ति दैत्यतेजांसि स्वनेनापूर्य या जगत् ।
सा घण्टा पातु नो देवि पापेभ्यो नः सुतानिव ।।
असुरामृग्वसापङ्कचर्चिंतस्ते करोज्ज्वलः ।
शुभाय खड्गो भवतु चण्डिके त्वां नता वयम् ।।
रोगानशेषानपहंसि तुष्टा
रुष्टा तु कामान् सकलानभीष्टान् ।
त्वामाश्रितानां न विपन्नराणां
त्वामाश्रिता ह्याश्रयतां प्रयान्ति ।।
एतत्कृतं यत्कदनं त्वयाद्य
धर्मद्विषां देवि महासुराणाम् ।
रूपैरनेकैर्बहुधात्ममूर्तिम्
कृत्वाम्बिके तत्प्रकरोति कान्या ।।
विद्यासु शास्त्रेषु विवेकदीपे-
ष्वाद्येषु वाक्येषु च का त्वदन्या ।
ममत्वगर्तेऽतिमहान्धकारे
विभ्रामयत्येतदतीव विश्वम् ।।
रक्षांसि यत्रोग्रविषाश्च नागा
यत्रारयो दस्युबलानि यत्र ।
दावानलो यत्र तथाब्धिमद्ये
तत्र स्थिता त्वं परिपासि विश्वम् ।।
विश्वेश्वरि त्वं परिपासि विश्वं
विश्वात्मिका धारयसीति विश्वम् ।
विश्वेशवन्द्या भवती भवन्ति
विश्वाश्रया ये त्वयि भक्तिनम्राः ।।
देवि प्रसीद परिपालय नोऽरि-
भीतेर्नित्यं यथासुरवधादधुनैव सद्यः ।
पापानि सर्वजगतां प्रशमं नयाशु
उत्पातपाकजनितांश्च महोपसर्गान् ।।
प्रणतानां प्रसीद त्वं देवि विश्वार्तिहारिणि ।
त्रैलोक्यवासिनामीड्ये लोकानां वरदा भव ।।
বিমানে বিমানে
বিমানে বিমানে আলোকের গানে জাগিল ধ্বনি।
তব বীণা তারে সে সুর বিহারে কি জাগরণে।
অরুণ রবি যে নিখিল রাঙালো,
পূর্ব আঁচলে তন্দ্রা ভাঙালো,
রাঙা হিল্লোলে ধরণী যে দোলে নূপুর রণি।
দেবীর অক্ষয় কৃপাকণা পেয়ে সপ্তলোক আনন্দিত। প্রথম কল্পে দেবী কাত্যায়ান-নন্দিনী কাত্যায়নী, অষ্টাদশভুজা উগ্রচণ্ডারূপে মহিষমর্দন করেন, দ্বিতীয় ষোড়শভুজা ভদ্রকালীর হস্তে মর্দিত হয় মহিষ, আর তৃতীয়ৈ বর্তমানকল্পে দশভুজা দুর্গারূপে মহাদেবী সুসজ্জিতা মহিষমর্দিনী। অখিল মানবকণ্ঠে ধ্বনিত পুষ্পাঞ্জলি স্তোত্রবন্দনা।
जय जय जप्य जयेजयशब्द परस्तुति तत्परविश्वनुते
झणझणझिञ्झिमि झिङ्कृत नूपुरशिञ्जितमोहित भूतपते ।
नटित नटार्ध नटी नट नायक नाटितनाट्य सुगानरते
जय जय हे महिषासुरमर्दिनि रम्यकपर्दिनि शैलसुते ॥
अयि सुमनःसुमनःसुमनः सुमनःसुमनोहरकान्तियुते
श्रितरजनी रजनीरजनी रजनीरजनी करवक्त्रवृते ।
सुनयनविभ्रमर भ्रमरभ्रमर भ्रमरभ्रमराधिपते
जय जय हे महिषासुरमर्दिनि रम्यकपर्दिनि शैलसुते ॥
कनकलसत्कलसिन्धुजलैरनुषिञ्चति ते गुणरङ्गभुवम्
भजति स किं न शचीकुचकुम्भतटीपरिरम्भसुखानुभवम् ।
तव चरणं शरणं करवाणि नतामरवाणि निवासि शिवम्
जय जय हे महिषासुरमर्दिनि रम्यकपर्दिनि शैलसुते ॥
नमो देव्यै महादेव्यै शिवायै सततं नमः।
नमः प्रकृत्यै भद्रायै नियताः प्रणता स्मरताम॥
रौद्रायै नमो नित्ययै गौर्य धात्र्यै नमो नमः।
ज्योत्यस्त्रायै चेन्दुरुपिण्यै सुखायै सततं नमः॥
कल्याण्यै प्रणतां वृद्धयै सिद्धयै कुर्मो नमो नमः।
नैर्ऋत्यै भूभृतां लक्ष्म्यै शर्वाण्यै ते नमो नमः॥
दुर्गायै दुर्गपारायै सारायै सर्वकारिण्यै।
ख्यात्यै तथैव कृष्णायै धूम्रायै सततं नमः॥
अतिसौम्यातिरौद्रायै नतास्तस्यै नमो नमः।
नमो जगत्प्रतिष्ठायै देव्यै नमो नमः॥
या देवी सर्वभूतेषु विष्णुमायेति शब्दिता।
नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमो नमः॥
या देवी सर्वभूतेषु चेतनेत्यभिधीयते।
नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमो नमः॥
या देवी सर्वभूतेषु बुद्धिरुपेण संस्थिता।
नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमो नमः॥
या देवी सर्वभूतेषु निद्रारूपेण संस्थिता।
नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमो नमः॥
या देवी सर्वभूतेषु क्षुधारूपेण संस्थिता।
नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमो नमः॥
या देवी सर्वभूतेषुच्छायारूपेण संस्थिता।
नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमो नमः॥
या देवी सर्वभूतेषु शक्तिरूपेण संस्थिता।
नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमो नमः॥
या देवी सर्वभूतेषु तृष्णारूपेण संस्थिता।
नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमो नमः॥
या देवी सर्वभूतेषु क्षान्तिरूपेण संस्थिता।
नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमो नमः॥
या देवी सर्वभूतेषु जातिरूपेण संस्थिता।
नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमो नमः॥
या देवी सर्वभूतेषु लज्जारूपेण संस्थिता।
नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमो नमः॥
या देवी सर्वभूतेषु शान्तिरूपेण संस्थिता।
नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमो नमः॥
या देवी सर्वभूतेषु श्रद्धारूपेण संस्थिता।
नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमो नमः॥
या देवी सर्वभूतेषु कान्तिरूपेण संस्थिता।
नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमो नमः॥
या देवी सर्वभूतेषु लक्ष्मीरूपेण संस्थिता।
नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमो नमः॥
या देवी सर्वभूतेषु वृत्तिरूपेण संस्थिता।
नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमो नमः॥
या देवी सर्वभूतेषु स्मृतिरूपेण संस्थिता।
नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमो नमः॥
या देवी सर्वभूतेषु दयारूपेण संस्थिता।
नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमो नमः॥
या देवी सर्वभूतेषु तुष्टिरूपेण संस्थिता।
नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमो नमः॥
या देवी सर्वभूतेषु मातृरूपेण संस्थिता।
नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमो नमः॥
या देवी सर्वभूतेषु भ्रान्तिरूपेण संस्थिता।
नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमो नमः॥
इन्द्रियाणामधिष्ठात्री भूतानां चाखिलेषु या।
भूतेषु सततं तस्यै व्याप्तिदैव्यै नमो नमः॥
चित्तिरूपेण या कृत्स्त्रमेतद्व्याप्त स्थिता जगत्।
नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमस्तस्यै नमो नमः॥
হে চিন্ময়ী
হে চিন্ময়ী, হিমগিরি থেকে এলে
এলে তারে রেখে নির্মল প্রাতে,
বসুন্ধরা যে সুবিমল সাজে অঞ্জলি হাতে।
নবনীলিমায় বাজে মহাভেরী
দিকে দিকে তব মাধুরী যে হেরি,
সুললিত তালে-তালে সুধা আনে আলোকেরই সাথে।
সাজাব যে ডালা, গাঁথিব যে মালা জ্যোতির মন্ত্রে
তাই অন্তরে অমৃত যে ভরে পুলকতন্ত্রে,
বাণী মহাবর অম্লান মনে
জননী গো নমি রাতুল চরণে,
পূজায় উল্লাসে ধরণী যে হাসে সুরভিত বাতে।
শ্রীশ্রীচণ্ডিকা গুণাতীতা ও গুণময়ী। সগুণ অবস্থায় দেবী চণ্ডিকা অখিলবিশ্বের প্রকৃতিস্বরূপিণী। তিনি পরিণামিনী নিত্যার্দিভ্যর্চৈতন্যসৃষ্টিপ্রক্রিয়ায় যে শক্তির মধ্য দিয়ে ক্রিয়াশীলরূপে অভিব্যক্ত হন, সেই শক্তি বাক্ অথবা সরস্বতী, তাঁর স্থিতিকালোচিত শক্তির নাম শ্রী বা লক্ষ্মী, আবার সংহারকালে তাঁর যে শক্তির ক্রিয়া দৃষ্ট হয় তা-ই রুদ্রাণী দুর্গা। একাধারে এই ত্রিমূর্তির আরাধনাই দুর্গোৎসব। এই তিন মাতৃমূর্তির পূজায় আরত্রিকে মানবজীবনের কামনা, সাধনা সার্থক হয়, চতুর্বর্গ লাভ করে মর্তলোক।
অমল কিরণে
অমল কিরণে ত্রিভুবন-মন-হারিণী
হেরিনু তোমার রূপে করুণা নাবনী,
নমি নমি নমি নিখিল চিতচারিণী
জাগো পুলক নিত্য নূপুরে জননী।
তোমারেই পূজিছে দেবদেবী দ্বারে-দ্বারে
রাগিণী ধ্বনিছে আকাশবীণার তারে,
তনু-মন-প্রাণ নিবেদি তোমারে মনে
প্রেম-সুর-ধন-পূজা জপি এই ধরণী,
নমি জগতের সকল ক্ষেমকারিণী
লভিনু তোমার প্রেমে করুণা লাবণী।
ষড়ৈশ্বর্যময়ী দেবী নিত্যা হয়েও বারংবার আবির্ভূতা হন। তিনি জগৎকে রক্ষা ও প্রতিপালন করেন। দেবীর করুণা অসীম, বিধাতৃ বরদার করুণার পুণ্যে বিশ্বনিখিল বিমোহিত, অমৃতরসবর্ষিণী মহাদেবীর অমল রূপের সুষমা প্রতিভাত ধরিত্রীর ধ্যানগরিমায়।
जयन्ती मङ्गला काली भद्रकाली कपालिनी।
दुर्गा शिवा क्षमा धात्री स्वाहा स्वधा नमोऽस्तु ते।।
मधुकैटभविध्वंसि विधातृवरदे नमः ।
रूपं देहि जयं देहि यशो देहि द्विषो जहि ॥
महिषासुरनिर्नाशि भक्तानां सुखदे नमः ।
रूपं देहि जयं देहि यशो देहि द्विषो जहि ॥
वन्दिताङ्घ्रियुगे देवि सर्वसौभाग्यदायिनि ।
रूपं देहि जयं देहि यशो देहि द्विषो जहि ॥
अचिन्त्यरूपचरिते सर्वशत्रुविनाशिनि ।
रूपं देहि जयं देहि यशो देहि द्विषो जहि ॥
नतेभ्यः सर्वदा भक्त्या चापर्णे दुरितापहे ।
रूपं देहि जयं देहि यशो देहि द्विषो जहि ॥
देहि सौभाग्यमारोग्यं देहि देवि परं सुखम् ।
रूपं देहि जयं देहि यशो देहि द्विषो जहि ॥
विधेहि देवि कल्याणं विधेहि विपुलां श्रियम् ।
रूपं देहि जयं देहि यशो देहि द्विषो जहि ॥
देवि भक्तजनोद्दामदत्तानन्दोदयेऽम्बिके ।
रूपं देहि जयं देहि यशो देहि द्विषो जहि ॥
तारिणि दुर्गसंसारसागरस्याचलोद्भवे ।
रूपं देहि जयं देहि यशो देहि द्विषो जहि ॥
বিশ্বপ্রকৃতি মহাদেবী দুর্গার চরণে চিরন্তনী ভৈরবধ্যানরতা পূজারিণী ভৈরবীতে গীতাঞ্জলী প্রদান করে ধন্যা হলেন। তাঁর গীতবাণী আজ অনিলে-সুনীলে নবীন জনমোদয়ে দিকে-দিকে সঞ্চারিত।
শান্তি
শান্তি দিলে ভরি,
দুখরজনী গেল তিমির হরি।
প্রেমমধুর গীতি
বাজুক হৃদে নিতি নিতি মা।
প্রাণে সুধা ঢালো
মরি গো মরি।