রাস কীর্তন — রাস নর্তন গান

(কাত্যায়নী ব্রত শেষে
গোবিন্দ আশ্বাসিলে
আগত শারদ পূর্ণিমা রজনীতে
পুরাব তব অভিলাস
প্রকটিত হই এব নর্তন রাস)
আজ শারদ চন্দ পবন মন্দ
বিপিনে ভরল কুসুম গন্ধ
ফুল্ল মল্লিকা,মালতি যূথী
মত্ত-মধুকর ভরণী
মত্ত মধু তারা গুনগুন করে
ঘিরে ঘিরে মালতী যূথী
ঘিরে ঘিরে তারা গুনগুন করে
মত্ত মধুকর ভরণী ই ই ই ই
(আজ এই পবিত্র শারদ
পূর্নিমা রাতে সখিগন
শ্যাম নাগরের কাছে
আবদার করে বলেন)
আজ বড় মনে সাধ জাগে
একত্র নাচিব ও ও
নাচবো বধু আর ধরে
এলাম বড়ই আশা করে
নাচব বধু আর ধরে-
(কথা শুনে শ্রীকৃষ্ণ বলেন)
নাচবে যদি নাচুক আগে
ঐ রাধা বিনোদিনী
যেমনি বাঁশি বাজাই আমি
নাচুক তেমনি।
(এই কথা শুনে
শ্রীকৃষ্ণ আমার
তালে তালে বাঁশি
বাজায়ে বাজায়ে বলে
তুমি নাচবে রাধে?
তবে আমার
একটি শর্ত আছে
কি সেই শর্ত !)
তোমার না হবে
ভূষণের ধ্বনি
না নড়িবে চীর
দ্রুত গতি চরনে না
বাজিবে মঞ্জীর
ধনি নাচত দেখি
বিষম সঙ্কট তালে
বাজাইব বাঁশী
ধনু-অঙ্কের মাঝে নাচ
বুঝিবো প্রেয়সী
কেমন নাচতে পার
ধনু মাঝে কেমন নাচত পার?
এই আমি এঁকে দিলাম
ধনু মাঝে কেমন নাচতে পার!
বলি ধনু মাঝে কেমন নাচতে পার!
হারিলে তোমার নিবো
বেশর কাঁচলি।
জিনিলে তোমারে দিবো
মোহন মুরলী।
এই পন রাখিলাম।
(এই পন দেখে শ্যাম নাগর
আমার তালে তালে বাঁশি
বাজাতে লাগলেন
তখন রাধা রানী আমার;
সেই তালে তালে
নাচতে লাগলেন)
তা তা থৈইয়া,
তেকে তেকে থৈইয়া,
তা থৈইয়া,তা থৈইয়া তা;
তা তা থৈ,তা তা থৈ,
তা তা থৈ থৈ,তা তা থৈ থৈ,
দ্রিমি দ্রিমি দ্রিমি ঝা;
দ্রিমি দ্রিমি দ্রিমি ঝা;
থো রানা রাগে লাগা
ঝিকি তাকা ঝিকি লাগা
ঝিকি তেসা লাউ গুরু ধা;
ঝা গুর গুর,ঝা গুর গুর,
ঝা গুর গুর,ঝা গুর গুর,
ঝা গুর গুর,ঝা গুর গুর ঝা
ঝা গুর গুর ঝা গুরগুর ঝা
ঝা গুরগুর ঝা গুরগুর।
চাঁদবদনী নাচত দেখি।।
তালে তালে
একবার নাচত দেখি।
তালে তালে বুঝবো
কেমন নটিনী।।।
তালে তালে
একবার নাচত দেখি
আহা তালে তালে
একবার নাচত দেখি
সখি তালে তালে
একবার নাচত দেখি।
হরিবল হরিবল,
হরিবল,হরিবল।।।
(শিল্পী-অদিতি মুন্সী)
Share on

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *