জনপ্রিয় ১৫টি দেশের গান
জনপ্রিয় ১৫টি দেশাত্মবোধক গান
Popular 15 patriotic songs
সোনায় মোড়ানো বাংলা মোদের
সূর্যোদয়ে তুমি সূর্যাস্তেও তুমি
শিকল পরার গান
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো
ওরা আমার মুখের ভাষা
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে
জয় বাংলা বাংলার জয়
আমার সোনার বাংলা
সালাম সালাম হাজার সালাম
কারার ঐ লৌহকপাট
জন্ম আমার ধন্য হলো মাগো
সোনা সোনা সোনা লোকে বলে সোনা
তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর
একাত্তরের মুক্তিসেনার যুদ্ধ
হায় রে আমার মন মাতানো দেশ
বাংলাদেশের শিশু মোরা
সোনায় মোড়ানো বাংলা মোদের
শিরোনামঃ সোনায় মোড়ানো বাংলা মোদের
গীতিকারঃ মকসুদ আলী খান সাঁই
সুরকারঃ মকসুদ আলী খান সাঁই
—
সোনায় মোড়ানো বাংলা মোদের
শ্মশান করেছে কে,
ইয়াহিয়া তোমায় আসামীর মত
জবাব দিতেই হবে।।
শ্যামল বরণে সোনালী ফসলে
ছিল যে সেদিন ভরা
নদী নির্ঝরে সদা বয়ে যেত
পূত অমৃত ধারা
অগ্নিদহনে সে সুখ স্বপ্ন
দগ্ধ করেছে কে।।
আমরা চেয়েছি ক্ষুধার অন্ন
একটি স্নেহের নীড়
নগদ পাওনা হিসেব কষিয়া
ছিলনা লোভের ভিড়।।
দেশের মাটিতে আমরা ফলাব
ফসলের কাঁচা সোনা
চিরদিন তুমি নিয়ে যাবে কেড়ে
হায় রে উন্মাদনা
এই বাঙালীর বুকের রক্তে
বন্যা বহালো কে।।
সূর্যোদয়ে তুমি সূর্যাস্তেও তুমি
শিরোনামঃ সূর্যোদয়ে তুমি, সূর্যাস্তেও তুমি
গীতিকারঃ মনিরুজ্জামান মনির
সুরকারঃ আলাউদ্দিন আলী
শিল্পীঃ সৈয়দ আব্দুল হাদী
–
সূর্যোদয়ে তুমি, সূর্যাস্তেও তুমি
ও আমার বাংলাদেশ,
প্রিয় জন্মভূমি।।
জলসিঁড়ি নদীতীরে
তোর খুশির কাঁপন যেন বাজে
ও… কাশবনে ফুলে ফুলে
তোর মধুর বাসর বুঝি সাজে
তোর একতারা হায় করে বাউল আমায়
সুরে সুরে।
সূর্যোদয়ে তুমি, সূর্যাস্তেও তুমি
ও আমার বাংলাদেশ,
প্রিয় জন্মভূমি।।
আঁকা-বাঁকা মেঠো পথে
তোর রাখাল হৃদয় জানি হাসে
ও… পদ্মকাঁপা দিঘী-ঝিলে
তোর সোনার স্বপন খেয়া ভাসে
তোর এই আঙ্গিনায় ধরে রাখ
শিকল পরার গান
শিরোনামঃ শিকল-পরার গান
নজরুল গীতি
♪
এই শিকল-পরা ছল মোদের এ শিকল-পরা ছল
এই শিকল পরেই শিকল তোদের করব রে বিকল।।
তোদের বন্ধ কারায় আসা মোদের বন্দী হতে নয়,
ওরে ক্ষয় করতে আসা মোদের সবার বাঁধন-ভয়।
এই বাঁধন প’রেই বাঁধন-ভয়কে করবো মোরা জয়,
এই শিকল-বাঁধা পা নয় এ শিকল-ভাঙ্গা কল।।
তোমরা বন্ধ ঘরের বন্ধনীতে কর্ছ বিশ্ব গ্রাস,
আর ত্রাস দেখিয়েই কর্বে ভাবছো বিধির শক্তি হ্রাস।।
সেই ভয়-দেখানো ভূতের মোরা করব সর্বনাশ,
এবার আন্বো মাভৈঃ-বিজয়-মন্ত্র বল-হীনের বল।।
তোমরা ভয় দেখিয়ে কর্ছ শাসন, জয় দেখিয়ে নয়;
সেই ভয়ের টুটিই ধর্ব টিপে, কর্ব তারে লয়।
মোরা আপনি ম’রে মরার দেশে আন্ব বরাভয়,
মোরা ফাঁসি প’রে আন্ব হাসি মৃত্যু-জয়ের ফল।।
ওরে ক্রন্দন নয় বন্ধন এই শিকল-ঝঞ্ঝনা,
এ যে মুক্ত-পথের অগ্রদূতের চরণ বন্দনা!
এই লাঞ্জিতেরাই অত্যাচারকে হান্ছে লাঞ্জনা,
মোদের অস্থি দিয়েই জ্বল্বে দেশে আবার বজ্রানল।।
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো
গানঃ আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো
শিল্পীঃ সমবেত সংগীত
সুরকারঃ শহীদ আলতাফ মাহমুদ
গীতিকারঃ আব্দুল গাফফার চৌধুরী
আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি
আমি কি ভুলিতে পারি
ছেলেহারা শত মায়ের অশ্রু গড়ায়ে ফেব্রুয়ারি
আমি কি ভুলিতে পারি
আমার সোনার দেশের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি
আমি কি ভুলিতে পারি।।
জাগো নাগিনীরা জাগো নাগিনীরা জাগো কালবোশেখীরা
শিশু হত্যার বিক্ষোভে আজ কাঁপুক বসুন্ধরা,
দেশের সোনার ছেলে খুন করে রোখে মানুষের দাবী
দিন বদলের ক্রান্তিলগ্নে তবু তোরা পার পাবি?
না, না, না, না খুন রাঙা ইতিহাসে শেষ রায় দেওয়া তারই
একুশে ফেব্রুয়ারি একুশে ফেব্রুয়ারি।।
সেদিনও এমনি নীল গগনের বসনে শীতের শেষে
রাত জাগা চাঁদ চুমো খেয়েছিল হেসে;
পথে পথে ফোটে রজনীগন্ধা অলকনন্দা যেন,
এমন সময় ঝড় এলো এক ঝড় এলো খ্যাপা বুনো।।
সেই আঁধারের পশুদের মুখ চেনা,
তাহাদের তরে মায়ের, বোনের, ভায়ের চরম ঘৃণা
ওরা গুলি ছোঁড়ে এদেশের প্রাণে দেশের দাবীকে রোখে
ওদের ঘৃণ্য পদাঘাত এই সারা বাংলার বুকে
ওরা এদেশের নয়,
দেশের ভাগ্য ওরা করে বিক্রয়
ওরা মানুষের অন্ন, বস্ত্র, শান্তি নিয়েছে কাড়ি
একুশে ফেব্রুয়ারি একুশে ফেব্রুয়ারি।।
তুমি আজ জাগো তুমি আজ জাগো একুশে ফেব্রুয়ারি
আজো জালিমের কারাগারে মরে বীর ছেলে বীর নারী
আমার শহীদ ভায়ের আত্মা ডাকে
জাগো মানুষের সুপ্ত শক্তি হাটে মাঠে ঘাটে বাটে
দারুণ ক্রোধের আগুনে আবার জ্বালবো ফেব্রুয়ারি
একুশে ফেব্রুয়ারি একুশে ফেব্রুয়ারি।।
ওরা আমার মুখের ভাষা
শিরোনামঃ ওরা আমার মুখের ভাষা
গীতিকারঃ আব্দুল লতিফ
সুরকারঃ আব্দুল লতিফ
ওরা আমার মুখের ভাষা কাইরা নিতে চায়
ওরা আমার মুখের ভাষা কাইরা নিতে চায়
ওরা কথায় কথায় শিকল পরায় আমার হাতে-পায়ে
ওরা কথায় কথায়
ওরা কথায় কথায় শিকল পরায় আমাদেরই হাতে-পায়ে
ওরা আমার মুখের ভাষা কাইরা নিতে চায়
ওরা আমার মুখের ভাষা কাইরা নিতে চায়
কইতো যাহা আমার দাদায়, কইছে তাহা আমার বাবায়
কইতো যাহা আমার দাদায়, কইছে তাহা আমার বাবায়
এখন কও দেহি ভাই মোর মুখে কি অন্য কথা শোভা পায়
কও দেহি ভাই
এখন কও দেহি ভাই মোর মুখে কি অন্য কথা শোভা পায়
ওরা আমার মুখের ভাষা কাইরা নিতে চায়
ওরা আমার মুখের ভাষা কাইরা নিতে চায়
সইমু না আর সইমু না, অন্য কথা কইমু না
যায় যদি ভাই দিমু সাধের জান, আহা যায় যদি ভাই দিমু সাধের জান,
এই জানের বদল রাখুম রে ভাই, বাব-দাদার জবানের মান
ও হো..হো..হো….বাব-দাদার জবানের মান
যে শুইনাছে আমার দেশের গাঁওগেরামের গান
নানান রঙয়ের নানান রসে, ভইরাছে তার প্রাণ
যে শুইনাছে আমার দেশের গাঁওগেরামের গান
নানান রঙয়ের নানান রসে, ভইরাছে তার প্রাণ
যপ-কীর্তন, ভাসান-জারি, গাজীর গীত আর কবি সারি
যপ-কীর্তন, ভাসান-জারি, গাজীর গীত আর কবি সারি
আমার এই বাংলাদেশের বয়াতিরা নাইচা নাইচা কেমন গায়
বাংলাদেশের
আমার এই বাংলাদেশের বয়াতিরা নাইচা নাইচা কেমন গায়
ওরা কাদের মুখের কথা কাইরা নিতে চায়
ওরা কাদের মুখের কথা কাইরা নিতে চায়
তারি তালে তালে হৈ ঢোল করতাল বাজে ঐ
বাশি কাশি খঞ্জনি সানাই, (আহা) বাশি কাশি খঞ্জনি সানাই
এখন কও দেখি ভাই এমন শোভা কোথায় গেলে দেখতে পাই
ও হো..হো..হো….কোথায় গেলে দেখতে পাই
পূবাল বায়ে বাদাম দিয়া লাগলে ভাটির টান
গায়রে আমার দেশের মাঝি
ভাটিয়ালি গান, (ভাইরে) ভাটিয়ালি গান
তার ভাটিয়াল গানের সুরে মনের দুসখু যায়রে দূরে
বাজায় বাশি সেইনা সুরে রাখাল বনের ছায়
রাখাল বনের ছায়
ওরা যদি না দেয় মান আমার দেশের যতই যাক
তার সাথে মোর নাড়ীর যোগাযোগ, আছে তার সাথে মোর নাড়ীর যোগাযোগ
এই আপদ-বিপদ দুঃখে কষ্টে এ গান আমার ভোলায় শোক
ও হো..হো..হো….এ গান আমার ভোলায় শোক
এই ঠুং ঠুংয়া ঠুং দোতারা আর সারিন্দা বাজাইয়া
গায়ের যোগী ভিক্ষা মাগে প্রেমের সারি গাইয়াগো
প্রেমের সারি গাইয়া
এই ঠুং ঠুংয়া ঠুং দোতারা আর সারিন্দা বাজাইয়া
গায়ের যোগী ভিক্ষা মাগে প্রেমের সারি গাইয়াগো
প্রেমের সারি গাইয়া
একতারা বাজাইয়া বাউল ঘুচায় মনের সকল আউল
একতারা বাজাইয়া বাউল ঘুচায় মনের সকল আউল
তারা মার্ফতি মুর্শিদি তত্ত্বে পথের দিশা দিয়া যায়
মার্ফতি মুর্শিদি তত্ত্বে পথের দিশা দিয়া যায়
ওরা তাদের মুখের কথা কাইরা নিতে চায়
ওরা তাদের মুখের কথা কাইরা নিতে চায়
ওরে আমার বাংলারে, ওরে সোনার ভান্ডারে
আরো কত আছে যে রতন আহা আরো কত আছে যে রতন
মূল্য তাহার হয়না দিলেও মনি মুক্তা আর কাঞ্চন
ও হো..হো..হো….মনি মুক্তা আর কাঞ্চন
আরেক কথা মনে হইলে আঁখি ঝইড়া যায়
ঘুমপাড়াইনা গাইত যে গান মোর দুঃখিনী মায়
আরেক কথা মনে হইলে আঁখি ঝইড়া যায়
ঘুমপাড়াইনা গাইত যে গান মোর দুঃখিনী মায়
ওমায় সোনা মানিক যাদু বলে চুমা দিয়া লইত কোলে
সোনা মানিক যাদু বলে চুমা দিয়া লইত কোলে
আরো আদর কইরা কইত মোরে আয় চান আমার বুকে আয়
আদর কইরা
আরো আদর কইরা কইত মোরে আয় চান আমার বুকে আয়
ওরা মায়ের মুখের কথা কাইরা নিতে চায়
ওরা মায়ের মুখের কথা কাইরা নিতে চায়
কও আমার মায়ের মত গান, আমার মায়ের মত প্রাণ
বাংলা বিনে কারো দেশে নাই, বাংলা বিনে কারো দেশে নাই
এই মায়ের মুখের মধুর বুলি কেমন কইরা ভুলুম ভাই
ও হো..হো..হো….কেমন কইরা ভুলুম ভাই
এই ভাষারই লাইগা যারা মায়ের দেয় ভুলান
দেশের মাটি বুকের খুনে কইরা গেছে লাল
এই ভাষারই লাইগা যারা মায়ের দেয় ভুলান
দেশের মাটি বুকের খুনে কইরা গেছে লাল
মনে কইরা তরার কথা কান্দে বনের তরু লতা
মনে কইরা তরার কথা কান্দে বনের তরু লতা
তাইতো ঘরে ঘরে কত মা তায় চোখের জলে বুক ভাসায়
ওরা মায়ের মুখের কথা কাইরা নিতে চায়
ওরা মায়ের মুখের কথা কাইরা নিতে চায়
কইরো না আর দুঃখ শোক শোনরে গাঁও গেরামের লোক
শোন শোন গঞ্জের সোনা ভাই, তোমরা শোন শোন গঞ্জের সোনা ভাই
একবার বুক ফুলাইয়্যা কও দেখি ভাই
রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই
রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই
রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই………
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে
শিরোনামঃ এক সাগর রক্তের বিনিময়ে
শিল্পীঃ স্বপ্না রায়
কথাঃ গোবিন্দ হালদার
সুরঃ আপেল মাহমুদ
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে
বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা
আমরা তোমাদের ভুলব না।
দুঃসহ এ বেদনার কণ্টক পথ বেয়ে
শোষণের নাগপাশ ছিঁড়লে যারা
আমরা তোমাদের ভুলব না।
যুগের নিষ্ঠুর বন্ধন হতে
মুক্তির এ বারতা আনলে যারা
আমরা তোমাদের ভুলব না।
কৃষাণ-কৃষাণীর গানে গানে
পদ্মা-মেঘনার কলতানে
বাউলের একতারাতে
আনন্দ ঝংকারে
তোমাদের নাম ঝংকৃত হবে।
নতুন স্বদেশ গড়ার পথে
তোমরা চিরদিন দিশারী রবে।
আমরা তোমাদের ভুলব না।
জয় বাংলা বাংলার জয়
শিরোনামঃ জয় বাংলা বাংলার জয়
শিল্পীঃ শাহনাজ রহমাতুল্লাহ
গীতিকারঃ গাজী মাজহারুল আনোয়ার
সুরকারঃ আনোয়ার পারভেজ
জয় বাংলা বাংলার জয়
জয় বাংলা বাংলার জয়
হবে হবে হবে হবে নিশ্চয়
কোটি প্রাণ এক সাথে জেগেছে অন্ধ রাতে
নতুন সূর্য ওঠার এই তো সময়
জয় বাংলা বাংলার জয়
জয় বাংলা বাংলার জয়
বাংলার প্রতি ঘর ভরে দিতে চাই মোরা অন্নে
আমাদের রক্ত টগবগ দুলছে মুক্তির দীপ্ত তারুণ্যে
নেই ভয়
হয় হোক রক্তের প্রচ্ছদপট
তবু করি না করি না করি না ভয়
জয় বাংলা বাংলার জয়
জয় বাংলা বাংলার জয়
অশথের ছায়ে যেন রাখালের বাঁশরি হয়ে গেছে একেবারে স্তব্ধ
চারিদিকে শুনি আজ নিদারুণ হাহাকার আর ওই কান্নার শব্দ
শাসনের নামে চলে শোষণের সুকঠিন যন্ত্র
বজ্রের হুংকারে শৃঙ্খল ভাঙতে সংগ্রামী জনতা অতন্দ্র
আর নয়
তিলে তিলে বাঙালির এই পরাজয়
আমি করি না করি না করি না ভয়
জয় বাংলা বাংলার জয়
জয় বাংলা বাংলার জয়
ভুখা আর বেকারের মিছিলটা যেন ওই দিন দিন শুধু বেড়ে যাচ্ছে
রোদে পুড়ে জলে ভিজে অসহায় হয়ে আজ ফুটপাতে তারা ঠাঁই পাচ্ছে
বার বার ঘুঘু এসে খেয়ে যেতে দেবো নাকো আর ধান
বাংলার দুশমন তোষামোদী-চাটুকার সাবধান সাবধান সাবধান
এই দিন
সৃষ্টির উল্লাসে হবে রঙিন
আর মানি না মানি না কোনও সংশয়
জয় বাংলা বাংলার জয়
জয় বাংলা বাংলার জয়
মায়েদের বুকে আজ শিশুদের দুধ নেই
অনাহারে তাই শিশু কাঁদছে
গরীবের পেটে আজ ভাত নেই ভাত নেই
দ্বারে দ্বারে তাই ছুটে যাচ্ছে।
মা-বোনেরা পরণে কাপড়ের লেশ নেই
লজ্জায় কেঁদে কেঁদে ফিরছে
ওষুধের অভাবে প্রতিটি ঘরে ঘরে,
রোগে শোকে ধুকে ধুকে মরছে
অন্ন চাই, বস্ত্র চাই, বাঁচার মত বাঁচতে চাই
অত্যাচারী শোষকদের আজ
মুক্তি নাই, মুক্তি নাই , মুক্তি নাই।
আমার সোনার বাংলা
শিরোনামঃ আমার সোনার বাংলা
রবীন্দ্রসঙ্গীত
আমার সোনার বাংলা,
আমি তোমায় ভালবাসি।
চিরদিন তোমার আকাশ,
তোমার বাতাস,
আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি।।
ও মা,
ফাগুনে তোর আমের বনে
ঘ্রাণে পাগল করে,
মরি হায়, হায় রে-
ও মা,
অঘ্রানে তোর ভরা ক্ষেতে
আমি কী দেখেছি মধুর হাসি।।
কী শোভা, কী ছায়া গো,
কী স্নেহ, কী মায়া গো-
কী আঁচল বিছায়েছ
বটের মূলে,
নদীর কূলে কূলে।
মা, তোর মুখের বাণী
আমার কানে লাগে
সুধার মতো,
মরি হায়, হায় রে-
মা, তোর বদনখানি মলিন হলে
ও মা,
আমি নয়ন জলে ভাসি।।
সালাম সালাম হাজার সালাম
শিরোনামঃ সালাম সালাম হাজার সালাম
শিল্পীঃ মোহাম্মদ আবদুল জব্বার
গীতিকারঃ ফজল-এ-খোদা
সুরকারঃ মোহাম্মদ আবদুল জব্বার
সালাম সালাম হাজার সালাম
সকল শহীদ স্মরণে,
আমার হৃদয় রেখে যেতে চাই
তাদের স্মৃতির চরণে।।
মায়ের ভাষায় কথা বলাতে
স্বাধীন আশায় পথ চলাতে
হাসিমুখে যারা দিয়ে গেল প্রাণ
সেই স্মৃতি নিয়ে গেয়ে যাই গান
তাদের বিজয় মরণে,
আমার হৃদয় রেখে যেতে চাই
তাদের স্মৃতির চরণে।।
ভাইয়ের বুকের রক্তে আজি
রক্ত মশাল জ্বলে দিকে দিকে
সংগ্রামী আজ মহাজনতা
কন্ঠে তাদের নব বারতা
শহীদ ভাইয়ের স্মরণে,
আমার হৃদয় রেখে যেতে চাই
তাদের স্মৃতির চরণে।।
বাংলাদেশের লাখো বাঙালি
জয়ের নেশায় আনে ফুলের ডালি
আলোর দেয়ালি ঘরে ঘরে জ্বালি
ঘুচিয়ে মনের আঁধার কালি।
শহীদ স্মৃতি বরণে,
আমার হৃদয় রেখে যেতে চাই
তাদের স্মৃতির চরণে।।
কারার ঐ লৌহকপাট
শিরোনামঃ কারার ঐ লৌহকপাট
নজরুল গীতি
কারার ঐ লৌহ–কপাট
ভেঙ্গে ফেল্ কর্ রে লোপাট রক্ত –জমাট
শিকল –পূজার পাষাণ –বেদী!
ওরে ও তরুণ ঈশান!
বাজা তোর প্রলয় –বিষাণ ! ধ্বংস –নিশান
উঠুক প্রাচী –র প্রাচীর ভেদি’।।
গাজনের বাজনা বাজা!
কে মালিক? কে সে রাজা? কে দেয় সাজা
মুক্ত –স্বাধীন সত্য কে রে?
হা হা হা পায় যে হাসি, ভগবান প’রবে ফাঁসি? সর্বনাশী –
শিখায় এ হীন্ তথ্য কে রে?
ওরে ও পাগ্লা ভোলা, দেরে দে প্রলয় –দোলা গারদগুলা
জোরসে ধ’রে হ্যাঁচকা টানে।
মার্ হাঁক হায়দরী হাঁক্ কাঁধে নে দুন্দুভি ঢাক ডাক ওরে ডাক
মৃত্যুকে ডাক জীবন –পানে।।
নাচে ঐ কাল –বোশেখী, কাটাবি কাল ব’সে কি?
দে রে দেখি ভীম কারার ঐ ভিত্তি নাড়ি’।
লাথি মার, ভাঙ্রে তালা! যত সব বন্দী–শালায়–
আগুন জ্বালা, আগুন জ্বালা, ফেল্ উপাড়ি।।
জন্ম আমার ধন্য হলো মাগো
শিরোনামঃ জন্ম আমার ধন্য হলো মাগো
শিল্পীঃ সাবিনা ইয়াসমীন
গীতিকারঃ নঈম গওহর
সুরকারঃ আজাদ রহমান
জন্ম আমার ধন্য হলো মাগো,
এমন করে আকুল হয়ে আমায় তুমি ডাক।।
তোমার কথায় হাসতে পারি,
তোমার কথায় কাঁদতে পারি,
মরতে পারি তোমার বুকে
বুকে যদি রাখো আমায়-
বুকে যদি রাখো মাগো।।
তোমার কথায় কথা বলি পাখীর গানের মত,
তোমার দেখায় বিশ্ব দেখি বর্ণ কত শত,
তুমি আমার, তুমি আমার খেলার পুতুল,
আমার পাশে থাকো মাগো।
তোমার প্রেমে তোমার
গন্ধে পরান ভরে রাখি
এই তো আমার জীবন মরণ
এমনি যেন থাকি
বুকে তোমার, বুকে তোমার ঘুমিয়ে গেলে
জাগিয়ে দিও নাকো আমায়
জাগিয়ে দিও নাকো মাগো।।
১৯৬৯-৭০ সালে করাচির ট্রান্সক্রিপশন সার্ভিসে এই গানটি রেকর্ড করা হয়। ফিরোজা বেগমের সঙ্গে সাবিনা ইয়াসমীনসহ আরও বেশ কজন সহশিল্পী এ গানের কোরাসে অংশ নিয়েছিলেন। সহশিল্পীদের মধ্যে জিনাত রেহানা, নাসির হায়দার, আহমেদুল্লাহ সিদ্দিকী, আসাদুল হক, লায়লা মোজাম্মেল অন্যতম। এই গান পরবর্তী সময়ে কাজী হায়াতের দেশপ্রেমিক ছবিতে ব্যবহার করা হয় সাবিনা ইয়াসমীনের কণ্ঠে।
সোনা সোনা সোনা লোকে বলে সোনা
শিরোনামঃ সোনা সোনা সোনা লোকে বলে সোনা
শিল্পীঃ শাহনাজ রহমাতুল্লাহ
গীতিকারঃ আব্দুল লতিফ
সুরকারঃ আব্দুল লতিফ
সোনা সোনা সোনা লোকে বলে সোনা
সোনা নয় ততো খাঁটি
বলো যতো খাঁটি তার চেয়ে খাঁটি
বাংলাদেশের মাটি রে
আমার বাংলাদেশের মাটি
আমার জন্মভূমির মাটি
জন-ধন বলো, যতো ধন দুনিয়াতে
হয় কি তুলনা বাংলার কারও সাথে
কতো মা’র ধন মানিক-রতন
কতো জ্ঞানী-গুণী কতো মহাজন
এনেছে আলোর সূর্য এখানে আঁধারের পথ কাটি রে
আমার বাংলাদেশের মাটি
আমার জন্মভূমির মাটি
এই মাটি তলে ঘুমাইছে অবিরাম
রফিক-শফিক-বরকত কতো নাম
কতো তিতুমির কতো ঈশা খান
দিয়েছে জীবন দেয়নি কো মান
রক্তশয্যা পাতিয়া এখানে ঘুমাইছে পরিপাটি রে
আমার বাংলাদেশের মাটি
আমার জন্মভূমির মাটি
তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর
শিরোনামঃ তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর
শিল্পীঃ সমবেত সংগীত (মূল সংগীত- আপেল মাহমুদ)
গীতিকারঃ আপেল মাহমুদ
সুরকারঃ আপেল মাহমুদ
তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর
পাড়ি দিব রে(২)
আমরা ক’জন নবীন মাঝি
হাল ধরেছি
শক্ত করে রে
তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর
পাড়ি দিব রে
তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর
পাড়ি দিব রে
জীবন কাটে যুদ্ধ করে
প্রাণের মায়া সাঙ্গ করে
জীবনের স্বাদ নাহি পাই
ও ও ও ও ও ও ও ও ও ও ও ও
জীবন কাটে যুদ্ধ করে
প্রাণের মায়া সাঙ্গ করে
জীবনের স্বাদ নাহি পাই
ঘর-বাড়ির ঠিকানা নাই
দিন-রাত্রি জানা নাই
চলার সীমানা সঠিক নাই
জানি শুধু চলতে হবে
এ তরী বাইতে হবে
আমি যে সাগর-মাঝি রে
তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর
পাড়ি দিব রে
তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর
পাড়ি দিব রে
জীবনের রঙে মনকে টানে না
ফুলের ঐ গন্ধ কেমন জানি না
জানি না
জোছনার দৃশ্য চোখে পড়ে না
না না না না না না
তারাও তো ভুলে কভু ডাকে না
জীবনের রঙে মনকে টানে না
বৈশাখের ওই রুদ্র ঝড়ে
আকাশ যখন ভেঙে পড়ে
ছেঁড়া পাল আরও ছিঁড়ে যায়
ও ও ও ও ও ও ও ও ও ও ও ও
বৈশাখের ওই রুদ্র ঝড়ে
আকাশ যখন ভেঙে পড়ে
ছেঁড়া পাল আরও ছিঁড়ে যায়
হাতছানি দেয় বিদ্যুত্ আমায়
হঠাৎ কে যে শঙ্খ শোনায়
দেখি ঐ ভোরের পাখি গায়
তবু তরী বাইতে হবে
খেয়া পারে নিতে হবে
যতই ঝড় উঠুক সাগরে
তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর
পাড়ি দিব রে(২)
আমরা ক’জন নবীন মাঝি
হাল ধরেছি
শক্ত করে রে
তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর
পাড়ি দিব রে
তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর
পাড়ি দিব রে
একাত্তরের মুক্তিসেনার যুদ্ধ
একাত্তরের মুক্তিসেনার যুদ্ধ
একাত্তরের মুক্তিসেনার যুদ্ধ আমি দেখি নাই
তবু মা তোর ধুলোর গন্ধে সংগ্রামের সে স্পর্শ পাই।।
মূহুর্তে তোর গায়ের সবুজ বুড়ে হলেও সূর্য লাল
তিরিশ লক্ষ প্রাণের দামে রক্তে ভেজে তোর কপাল
নির্যাতিতা ফিরছে ঘরে নিখোঁজ তাহার বাপ ও ভাই।।
মাগো যদি জন্ম নিতাম একাত্তরের আগে গো
সন্তানের সে ঋণ শোধাতাম আত্মাহুতির আগে গো
শহীদ হব তোরই বুকে এমন কপাল আমার নাই।।
হায় রে আমার মন মাতানো দেশ
হায় রে আমার মন মাতানো দেশ,
হায় রে আমার সোনা ফলা মাটি।
রূপ দেখে তোর কেন আমার নয়ন ভরে না
তোরে এতো ভালোবাসি তবু পরান ভরে না।।
যখন তোর ওই গাঁয়ের ঘরে
ঘুঘু ডাকা নিঝুম কোনো দুপুরে।
হংস মিথুন ভেসে বেড়ায়
শাপলা ফোটা তলতলে ওই পুকুরে।
নয়ন পাখি দিশা হারায়
প্রজাপতির পাখায় হারায়
তাদের কথা মনে ধরে না।।
যখন তোর ওই আকাশ নীলে
পাল তুলে যায়, সাত সাগরের পশরা।
নদীর বুকে হাতছানি দেয়,
লক্ষ ছেলে, মানিক-জ্বালা ইশারা।
হায় রে আমার বুকের মাঝে,
হাজার তারের বীণা বাজে
অবাক চোখে, পলক পড়ে না।।
বাংলাদেশের শিশু মোরা
বাংলাদেশের শিশু মোরা
বাংলাদেশের শিশু মোরা বাংলা ভালোবাসি
দেশের ডাকে মরতে পারি, দেশের ডাকে আসি।
সেই তো আমার বাংলাদেশ, আমাদেরই বাংলাদেশ।।
দেশটাকে ভাই গড়তে হলে করতে হবে আগে,
শিক্ষা শুধু জীবন গড়ে, শিক্ষাতে প্রাণ যাবে।
তাই তো রে ভাই সবাই মিলে পাঠশালাতে আসি।।
সত্য ন্যায়ের গড়তে জীবন শিক্ষাই হোক হাতিয়ার
ধন্য সেই জন এই ভুবনে শিক্ষা আছে যার।
সবার প্রাণে বাজবে এ গান যদি দেশকে ভালোবাসি।।