Dada Ami Sate Panche Tahki Na | দাদা আমি সাতে পাঁচে থাকি না কবিতা

Dada Ami Sate Panche Tahki Na

দাদা আমি সাতে পাঁচে থাকি না কবিতা

 

Table of Contents

Dada Ami Sate Panche Tahki Na

 

দাদা আমি সাতে পাঁচে থাকি না
যে যা করে দেখি ভাই, সুবিধাটা নিয়ে যাই
ধুম করে প্রকাশ্যে আসি না
দাদা আমি সাতে পাঁচে থাকি না
রাজনীতি, দলাদলি কিংবা সে কোলাকুলি
যে যা খুশি হয়ে যাক, দুনিয়া চুলোয় যাক
আমি টু শব্দটি করি না
বারান্দা থেকে আমি নামি না
দাদা আমি সাতে পাঁচে থাকি না

এইতো কদিন আগে, ঝড়ে সব এলোমেলো
আলো জল চলে গেল
লোকজন খচে গিয়ে অবরোধ করে দিল
ঠিক কদিন পর সব ওকে হয়ে গেলো
টুক করে ঘরে দেখি এসি টিভি অন হলো
হুজ্জতি বাবারে এতো কি উচিত ছিল?
যদিও বা এতো শত বুঝি না
বারান্দা থেকে আমি নামি না
দাদা আমি সাতে পাঁচে থাকি না।

করোনার মাছ কাচি, বউয়ের শাড়ি ধুই
মাঝে মাঝে আমি করি রান্না
কে কোথায় মরে গেল, কার ঘর ভেঙে গেল
পুষায় না অত শত কান্না
বারান্দা থেকে আমি নামি না
দাদা আমি সাতে পাঁচে থাকি না

এবার দুর্গাপূজো নম নম করে হবে
জামা জুতো কাউকেই দেবো না
চাঁদা চাইতে এলে ১০ টাকা গুঁজে দিব
কারো আবদার কানে নেবো না
তবু ত্রাণের ১০০ টাকা কেড়ে নিল ছেলেরা
পাশে শালা ছিল বলে দিয়েছি
আমার ঝামেলা নিয়ে আমি আছি চুপচাপ
কারো থেকে কোন কিছু চেয়েছি?

ভাবুক দেশের কথা দেশের নেতারা সব
ঝড়, জল, করোনা ভাইরাস
ভোট দেওয়া ডিউটি, আমি সেটা করে দিই
আমি কি বিলিয়ে দেব বারো মাস?
তোমায় আপন ভাবি, তাই খুলে বলছি
আজকাল কারো সাথে মিশি না
পাড়া প্রতিবেশী আমি কারো বাড়ি যাই না
খাওয়া দাওয়া এমন কি হিসি না
ফেসবুকে কেস খাবো ভুল কিছু লিখলে
তাই ফুল ছাড়া কোন ফটো দেই না
দিন কাল ভালো না, নিজেরটা বুঝে নাও
তর্কেও কারো সাথে লেগো না

শুধু পাড়ায় এমএলএ এলে
ছুটে গিয়ে হাত নাড়ি
হাসিমুখে থাকি, কিছু বলি না
সব বেটা ভেবে মরে, আমি তাকে ভোট দেব
বারান্দা থেকে তবু নামি না
দাদা আমি সাতে পাঁচে থাকি না

জানি তুমি বলবে, আমি হাড় বজ্জাত
লাভ নেই কানে বেশি শুনি না
দুবছর হয়ে গেলো এভাবেই চলছে
ডাক্তার খরচও করি না
বারান্দা থেকে আমি নামি না
দাদা আমি সাতে পাঁচে …

এই কবিতা আর তার আবৃত্তির Performativity নিয়ে কিছু বলার দরকার হয় না। কবিতা মানেই যে রহস্য আর ব্যাখ্যা লাগে বিষয়টি সব সময় সেরকম নাও হতে পারে। এই কবিতার ভেতরেই কবিতার সবিশেষ তাৎপর্য বর্ণিত আছে। নিজেদের নিয়েই যারা ব্যাস্ত, নিজেদের কথাই শুধু ভাবে যারা, কিন্তু সুবিধাটা আবার ঠিকি নিয়ে যায় অন্য মানুষদের কাছ থেকে আর সমাজ থেকে তাদের স্বরূপ এই কবিতায় তুলে ধরা হয়েছে। আমিও সেই স্বরুপ উন্মোচিত দলের একজন।

বহুরূপী, স্বার্থপর ব্যাক্তিদের নিয়ে কবিতাটি লিখেছেন রুদ্রনীল ঘোষ। রুদ্রনীল ঘোষকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা। তার আবৃত্তি দেখে ছোট্ট বিতান কবিতাটি আবৃত্তি করে। বিতানের আবৃত্তি অসংখ্য মানুষের ভালোবাসা কুড়িয়েছে ইতোমধ্যে। রুদ্রনীলও বিতানের আবৃত্তি, বলার ভঙিতে মুগ্ধ হয়ে তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। বিতান পশ্চিমবঙ্গের নৈহাটির ছেলে। নয় বছরের বিতান ৪র্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

 

দাদা আমি সাতে পাঁচে থাকি না

দাদা আমি সাতে পাঁচে থাকি না
রুদ্রনীল ঘোষ

হ্যা বিপর্যয়!
দাদা আমি সাতে পাঁচে থাকি না!
যে যা করে দেখি ভাই
সুবিধাটা নিয়ে যাই
ধুম করে প্রকাশ্যে আসি না!
দাদা আমি সাতে পাঁচে থাকি না৷৷
রাজনীতি দলাদলি কিংবা সে কোলাকুলি
যে যা খুশি হয়ে যাক
দুনিয়া চুলোয় যাক
আমি টু শব্দটি করি না
বারান্দা থেকে আমি নামি না!
দাদা আমি সাতে পাঁচে থাকি না!!
এই তো কদিন আগে
ঝড়ে সব এলোমেলো
আলো জল চলে গেলো
লোকজন গুছে গিয়ে
অবরোধ করে দিলো,
ঠিক কদিন পর সব ওকে হয়ে গেল
টুক করে ঘরে দেখি এসি টিভি অন হলো!
হুজ্জোটি বাবাজি এত কি উচিৎ ছিলো?
যদিওবা অতশত বুঝি না!
বারান্দা থেকে আমি নামি না!
দাদা আমি সাতে পাঁচে থাকি না!!
করোনায় মাছ কাচি
বউয়ের শাড়ি ধুই
মাঝে মাঝে আমি করি রান্না
কে কোথায় মরে গেল
কার ঘর ভেঙে গেল
পোছায় না অতশত কান্না!
বারান্দা থেকে আমি নামি না
দাদা আমি সাতে পাঁচে থাকি না!!
এবার দূর্গোপুজো নম নম করে হবে
জামা জুতো কাউকেই দেবো না!
চাঁদাচাই ধেয়ে এলে দশ টাকা গুজে দেবো
কারু আবদার কানে নেবো না!
তবু ত্রাণের একশো টাকা কেড়ে নিলো ছেলেরা!
সাথে শালা ছিলো বলে দিয়েছি,হুম!(২)
আমার ঝামেলা নিয়ে আমি আছি চুপচাপ
কারো থেকে কোন কিছু চেয়েছি?
ভাবুক দেশের কথা দেশের নেতারা সব
ঝড় জল করোনা ভাইরাস
ভোট দেয়া ডিউটি
আমি সেটা করে দিই
আমি কি বিলিয়ে যাবো বারোমাস?
তোমায় আপন ভাবি তাই খুলে বলছি
আজকাল কারো সাথে মিশি না!
পাড়া প্রতিবেশি আমি কারু বাড়ি যাই না
খাওয়া দাওয়া এমনকি হিসি না!
ফেসবুকে কেস খাবো
ভুল কিছু লিখলে,
তাই ফুল ছাড়া কোন ফটো দেই না!
দিনকাল ভালো না
নিজেরটা বুঝে নাও
তর্কেও কারো সাথে লেগো না,
শুধু পাড়ায় এমএলএ এলে,হুহু
পাড়ায় এমএলএ এলে
ছুটে গিয়ে হাত নাড়ি
হাসিমুখে থাকি কিছু বলি না!
সব ব্যাটা ভেবে মরে আমি তাকে ভোট দেবো!
বারান্দা থেকে তবু নামি না৷
দাদা আমি সাতে পাঁচে থাকি না!!
জানি তুমি বলবে আমি হাড় বজ্জাত
লাভ নেই কানে বেশি শুনি না
দুবছর হয়ে গোল এভাবেই চলছে
ডাক্তার খরচও করি না!
বারান্দা থেকে আমি উহু হু!!!

Share on

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *