ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ভোগ-আরতি | শ্রীশ্রীযুগল-আরতি | Bhogoban ShriKrishner Bhog-Arati | ShriShri Jugol Arati

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ভোগ-আরতি

শ্রীশ্রীযুগল-আরতি

Bhogoban ShriKrishner Bhog-Arati

ShriShri Jugol Arati

 

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ভোগ-আরতি

ভজ ভকত বৎসল শ্রীগৌরহরি।

শ্রীগৌরহরি সোহি গোষ্ঠবিহারী,

নন্দ-যশোমতী-চিত্তহারি।।১।।

বেলা হলো দামোদর, আইস এখন।

ভোগ-মন্দিরে বসি’ করহ ভোজন।।২।।

নন্দের নির্দেশে বৈসে গিরিবরধারী।

বলদেব-সহ সখা বৈসে সারি সারি।।৩।।

শুকতা-শাকাদি ভাজি নালিতা কুষ্মাণ্ড।

ডালি ডালনা দুগ্ধতুম্বী দধি মোচাখণ্ড।।৪।।

মুদগবড়া মাষবড়া রোটিকা ঘৃতান্ন।

শষ্কু্লী পিষ্টক ক্ষীর পুলী পায়সান্ন।।৫।।

কর্পূর অমৃতকেলী রম্ভা ক্ষীরসার।

অমৃত রসালা, অম্ল দ্বাদশ প্রকার।।৬।।

লুচি চিনি সরপুরী লাড্ডু রসাবলী।

ভোজন করেন শ্রীকৃষ্ণ হ’য়ে কুতহলী।।৭।।

রাধিকার পক্ক অন্ন বিবিধ ব্যঞ্জন।

পরম আনন্দে কৃষ্ণ করেন ভোজন।।৮।।

ছলে-বলে লাড্ডু খায় শ্রীমধুমঙ্গল।

বগল বাজায়, আর দেয় হরিবোল।।৯।।

রাধিকাদি গণে হেরি’ নয়নের কোণে।

তৃপ্ত হ’য়ে খায় কৃষ্ণ যশোদা-ভবনে।।১০।।

ভোজনান্তে পিয়ে কৃষ্ণ সুবাসিত বারি।

সবে মুখ প্রক্ষালয় হ’য়ে সারি সারি।।১১।।

হস্ত-মুখ প্রক্ষালিয়া যত সখাগণে।

আনন্দে বিশ্রাম করে বলদেব সনে।।১২।।

জম্বুল রসাল আনে তাম্বুল মসালা।

তাহা খেয়ে কৃষ্ণচন্দ্র সুখে নিদ্রা গেলা।।১৩।।

বিশালাক্ষ শিখি-পুচ্ছ চামর ঢুলায়।

অপূর্ব শয্যায় কৃষ্ণ সুখে নিদ্রা যায়।।১৪।।

যশোমতী-আজ্ঞা পেয়ে ধনিষ্ঠা-আনীত।

শ্রীকৃষ্ণপ্রসাদ রাধা ভুঞ্জে হ’য়ে প্রীত।।১৫।।

ললিতাদি সখীগণ অবশেষে পায়।

মনে মনে সুখে রাধা-কৃষ্ণগুণ গায়।।১৬।।

হরি-লীলা একমাত্র যাঁহার প্রমোদ।

ভোগারতি গায় সেই ভকতিবিনোদ।।১৭।।

শ্রীশ্রীযুগল-আরতি

জয় জয় রাধাকৃষ্ণ যুগল-মিলন ।

আরতি করয়ে ললিতাদি সখীগণ ।।১।।

মদনমোহন রূপ ত্রিভঙ্গসুন্দর।

পিতাম্বর শিখিপুচ্ছ চূড়া-মনোহর ।।২।।

ললিতমাধব-বামে বৃষভানু-কন্যা ।

সুনীলবসনা গৌরী রূপে গুণে ধন্যা ।।৩।।

নানাবিধ অলঙ্কার করে ঝলমল ।

হরিমনোবিমোহন বদন উজ্জ্বল ।।৪।।

বিশাখাদি সখীগণ নানা রাগে গায় ।

প্রিয়নর্মসখী যত চামর ঢুলায় ।।৫।।

শ্রীরাধামাধব-পদ-সরসিজ-আশে ।

ভকতিবিনোদ সখীপদে সুখে ভাসে ।।৬।।

 

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ভোগ-আরতি

মৌলিক তথ্য

  • গানের শিরোনাম: ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ভোগ-আরতি (Bhog-Arati)
  • রচয়িতা: শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুর (Bhaktivinoda Thakura)
  • ধরন: ভক্তিগীতি, আরতি
  • বিষয়: ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং তাঁর সখাদের সঙ্গে ভোজনলীলার বর্ণনা
  • বিশেষত্ব: এই গানটি গৌড়ীয় বৈষ্ণব ঐতিহ্যে প্রতিদিন দুপুরবেলার আরতির সময় গাওয়া হয়।
  • ইউটিউব লিংক: https://www.youtube.com/watch?v=CSOEg0jSh6w

 

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ভোগ-আরতি গানটি বৈষ্ণব ভক্তদের কাছে এক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ভক্তিগীতি। শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুর রচিত এই আরতিটি, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মধ্যাহ্ন ভোজনের লীলাকে এক মধুর আবহে তুলে ধরে। গানের প্রতিটি পঙক্তিতে এমন এক মনোরম দৃশ্যের বর্ণনা করা হয়েছে, যেখানে কৃষ্ণ গিরিধারী রূপে নন্দ, যশোদা এবং তাঁর সখাদের সাথে বসে ভোজন করছেন। এখানে বিভিন্ন পদের খাবারের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যা শ্রীকৃষ্ণের প্রতি ভক্তের গভীর ভালোবাসা ও সেবাপরায়ণতার প্রতীক।

যারা “Krishna Bhog Arati lyrics”, “শ্রীকৃষ্ণের ভোগ আরতি”, “Bhaktivinod Thakur songs” বা “Hare Krishna Arati” লিখে অনুসন্ধান করেন, তাদের জন্য এটি একটি অপরিহার্য গান। এটি শুধু একটি গান নয়, এটি শ্রীকৃষ্ণের প্রতি ভক্তি ও প্রেমের এক সজীব প্রকাশ, যা ভক্তদের অন্তরে এক অপার আনন্দানুভূতি সঞ্চার করে।

 

সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর

১. ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ভোগ-আরতি গানটি কে লিখেছেন? উত্তর: এই আরতি গানটি লিখেছেন বৈষ্ণব আচার্য শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুর।

২. এই গানটি সাধারণত কখন গাওয়া হয়? উত্তর: এই গানটি সাধারণত দুপুরবেলার ভোগ নিবেদনের পর আরতির সময় গাওয়া হয়ে থাকে, যা শ্রীকৃষ্ণের মধ্যাহ্ন ভোজনলীলাকে স্মরণ করিয়ে দেয়।

৩. গানের মূল বিষয়বস্তু কী? উত্তর: গানের মূল বিষয়বস্তু হলো ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং তাঁর সখাদের সাথে গোবর্ধন পাহাড়ের কাছে মধ্যাহ্ন ভোজনের লীলার বিস্তারিত বর্ণনা।

৪. গানের শেষ শ্লোকে কার কথা বলা হয়েছে? উত্তর: গানের শেষ শ্লোকে রচয়িতা ভক্তিবিনোদ ঠাকুরের কথা বলা হয়েছে, যিনি হরি-লীলাকে একমাত্র আনন্দ বলে মনে করেন।

 

শ্রীশ্রীযুগল-আরতি

মৌলিক তথ্য

  • গানের শিরোনাম: শ্রীশ্রীযুগল-আরতি (ShriShri Jugol Arati)
  • রচয়িতা: শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুর (Bhaktivinoda Thakura)
  • ধরন: ভক্তিগীতি, আরতি
  • বিষয়: শ্রীরাধাকৃষ্ণের যুগল রূপ ও তাঁদের নিত্যলীলার বর্ণনা
  • বিশেষত্ব: এই গানটি যুগল (রাধা-কৃষ্ণ) আরতির সময় গাওয়া হয়।
  • ইউটিউব লিংক: https://www.youtube.com/watch?v=Reis5IGQP8o

 

“জয় জয় রাধাকৃষ্ণ যুগল-মিলন”—এই আরতি গানটি শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুর-এর আরেকটি অপূর্ব সৃষ্টি, যা শ্রীরাধাকৃষ্ণের দিব্য প্রেমের এক মহিমান্বিত রূপ তুলে ধরে। এই আরতিটি বিশেষভাবে যুগল-আরতির সময় গাওয়া হয়, যেখানে রাধা-কৃষ্ণের এক মিলিত সৌন্দর্যকে পূজা করা হয়। গানের প্রতিটি পঙক্তিতে রাধাকৃষ্ণের রূপ, তাঁদের বসন, অলঙ্কার এবং ললিতাদি সখীদের সেবার এক জীবন্ত চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

যারা “Radha Krishna Jugal Arati lyrics”, “যুগল আরতি গান”, “Radha Madhav Arati” বা “Bhaktivinod Thakura songs” লিখে অনুসন্ধান করেন, তাদের জন্য এই গানটি এক অমূল্য সম্পদ। এটি কেবল একটি গান নয়, এটি রাধাকৃষ্ণের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও প্রেমের এক প্রকাশ, যা ভক্তদের হৃদয়কে বিশুদ্ধ ভক্তি রসে পরিপূর্ণ করে তোলে।

 

সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর

১. শ্রীশ্রীযুগল-আরতি গানটি কে রচনা করেছেন? উত্তর: এই আরতি গানটি রচনা করেছেন শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুর।

২. এই আরতির মূল বিষয় কী? উত্তর: এই আরতির মূল বিষয় হলো রাধা-কৃষ্ণের যুগল রূপের সৌন্দর্য বর্ণনা করা এবং তাঁদের নিত্যলীলাকে স্মরণ করা।

৩. এই আরতিতে কোন সখীদের কথা বলা হয়েছে? উত্তর: এই আরতিতে ললিতাদি সখীদের কথা বলা হয়েছে, যারা শ্রীরাধাকৃষ্ণের সেবায় নিয়োজিত থাকেন।

৪. গানটির শেষ শ্লোকে ভক্তিবিনোদ ঠাকুর কী কামনা করেছেন? উত্তর: গানের শেষ শ্লোকে ভক্তিবিনোদ ঠাকুর শ্রীরাধামাধবের চরণকমল লাভের এবং সখীদের পদে থেকে সুখে ভেসে যাওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *