আচার্য্য বন্দনা Lyrics | জয়রে জয়রে জয় পরমহংস মহাশয় Lyrics | Achariya Bandana Lyrics

আচার্য্য বন্দনা Lyrics

জয়রে জয়রে জয় পরমহংস মহাশয় Lyrics

Achariya Bandana Lyrics

Jayre Jayre Jay Paramhangsa Mahashaya Lyrics

আচার্য্য-বন্দনা

আচার্য্য বন্দনা Lyrics

জয়রে জয়রে জয় পরমহংস মহাশয়
শ্রীভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ।
গোস্বামী ঠাকুর জয় পরম করুণাময়
দীনহীন অগতির গতি ॥

নীলাচলে হইয়া উদায় ।
শ্রীগৌড়মণ্ডলে আসি’ প্রেমভক্তি পরকাশি’
জীবের নাশিলা ভব-ভয় ॥

তোমার মহিমা গাই হেন সাধ্য মোর নাই
তবে পারি যদি দেহ শক্তি ।
বিশ্বহিতে অবিরত আচার-প্রচারে রত
বিশুদ্ধ শ্রীরূপানুগা ভক্তি ॥

শ্রীপাট খেতরি-ধাম ঠাকুর শ্রীনরোত্তম
তোমাতে তাঁহার গুণ দেখি ।
শাস্ত্রের সিদ্ধান্ত-সার শুনি লাগে চমৎকার
কুতার্কিক দিতে নারে ফাঁকি ॥

শুদ্ধভক্তি-মত যত উপধর্ম্ম-কবলিত
হেরিয়া লোকের মনে ত্রাস ।
হানি’ সুসিদ্ধান্ত-বাণ উপধর্ম্ম খান খান
সজ্জনের বাড়ালে উল্লাস ॥

স্মার্ত্তমত জলধর শুদ্ধভক্তি রবি-কর
আচ্ছাদিল ভাবিয়া অন্তরে ।
শাস্ত্রসিন্ধু মন্থনেতে সুসিদ্ধান্ত ঝঞ্ঝাবাতে
উড়াইলা দিগ্­দিগন্তরে ॥

স্থানে স্থানে কত মঠ স্থাপিয়াছ নিষ্কপট
প্রেমসেবা শিখাইতে জীবে ।
মঠের বৈষ্ণবগণ করে সদা বিতরণ
হরিগুণ-কথামৃত ভবে ॥

শুদ্ধভক্তি-মন্দাকিনী বিমল প্রবাহ আনি
শীতল করিলা তপ্তপ্রাণ ।
দেশে দেশে নিষ্কিঞ্চন প্রেরিলা বৈষ্ণবগণ
বিস্তারিতে হরিগুণগান ॥

পূর্ব্বে যথা গৌরহরি, মায়াবাদ ছেদ করি
বৈষ্ণব করিলা কাশীবাসী ।
বৈষ্ণবদর্শন-সূক্ষ্ম বিচারে তুমি হে দক্ষ
তেমতি তোষিলা বারাণসী ॥

দৈববর্ণাশ্রম-ধর্ম্ম হরিভক্তি যার মর্ম্ম
শাস্ত্রযুক্তে করিলা নিশ্চয় ।
জ্ঞান-যোগ-কর্ম্মচয় মূল্য তার কিছু নয়
ভক্তির বিরোধী যদি হয় ॥

শ্রীগৌড়মণ্ডল ভূমি ভক্তসঙ্গে পরিক্রমি
সুকীর্ত্তি স্থাপিলা মহাশয় ।
অভিন্ন ব্রজমণ্ডল গৌড়ভূমি প্রেমোজ্বল
প্রচার হইল বিশ্বময় ॥

কুলিয়াতে পাষণ্ডীরা অত্যাচার কৈল যা’রা
তা সবার দোষ ক্ষমা করি’ ।
জগতে কৈলে ঘোষণা ‘তরোরিব সহিষ্ণুনা’
হন ‘কীর্ত্তনীয়ঃ সদা হরিঃ’ ॥

শ্রীবিশ্ববৈষ্ণব-রাজ- সভামধ্যে “পাত্ররাজ”
উপাধি-ভূষণে বিভূষিত ।
বিশ্বের মঙ্গল লাগি’ হইয়াছ সর্ব্বত্যাগী
বিশ্ববাসী জন-হিতে রত ॥

করিতেছ উপকার যাতে পর উপকার
লভে জীব শ্রীকৃষ্ণ-সেবায় ।
দূরে যায় ভব-রোগ খণ্ডে যাহে কর্ম্মভোগ
হরিপাদপদ্ম যা’তে পায় ॥

জীব মোহ-নিদ্রাগত জাগা’তে বৈকুন্ঠদূত
‘গৌড়ীয়’ পাঠাও ঘরে ঘরে ।
উঠরে উঠরে ভাই আর ত সময় নাই
‘কৃষ্ণ ভজ’ বলে উচ্চৈঃস্বরে ॥

তোমার মুখারবিন্দ- বিগলিত মকরন্দ
সিঞ্চিত অচ্যুত-গুণগাথা ।
শুনিলে জুড়ায় প্রাণ তোমা মোহ অন্তর্দ্ধান
দূরে যায় হৃদয়ের ব্যথা ॥

জানি আমি মহাশয় যশোবাঞ্চা নাহি হয়
বিন্দুমাত্র তোমার অন্তরে ।
তব গুণ বীণাধারী, মোর কন্ঠ-বীণা ধরি’
অবশেতে বলায় আমারে ॥

বৈষ্ণবের গুণ-গান করিলে জীবের ত্রাণ
শুনিয়াছি সাধুগুরুমুখে ।
কৃষ্ণভক্তি সমুদয় জনম সফল হয়
এ ভব-সাগর তরে সুখে ॥

তে-কারণে প্রয়াস যথা বামনের আশ
গগনের চাঁদ ধরিবারে ।
অদোষ-দরশী তুমি অধম পতিত আমি
নিজগুণে ক্ষমিবা আমারে ॥

শ্রীগৌরাঙ্গ-পারিষদ ঠাকুর ভক্তিবিনোদ
দীনহীন পতিতের বন্ধু ।
কলিতমঃ বিনাশিতে আনিলেন অবনীতে
তোমা’ অকলঙ্ক পূর্ণ ইন্দু ॥

কর কৃপা বিতরণ প্রেমসুধা অনুক্ষণ
মাতিয়া উঠুক জীবগণ ।
হরিনাম-সংকীর্ত্তনে নাচুক জগত-জনে
বৈষ্ণব-দাসের নিবেদন ॥

Share on

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *