তুমি জানো নারে প্রিয়
Tumi Janno Nare Prio
তুমি মোর জীবনের সাধনা
তোমায় প্রথম যেদিন দেখেছি
মনে আপন মেনেছি
তুমি বন্ধু আমার বেদন বুঝো না
মৃদু মৃদু বায়ু বয়
ফুলবনে পুলকের আল্পনা
মাধুয়া মাধুবী রাতে বঁধুয়া তোমারি সাথে
করেছিনু যামিনী যাপনা
কি আগুন মোর বুকে জ্বেলে
একদিনও দেখতে তুমি এলে না
যদি পেতাম দুঃখিনীর কুটিরে
দেখাইতাম অন্তর চিঁড়ে
বুকের ব্যথা মুখে বলা চলে না
পুড়ে যায় বন জঙ্গল
মন পোড়া পিরিত বন্ধু তাহা নয়
কত বিরহীনির তুমি অন্তর তলে
বিনা কাষ্ঠে আগুন জ্বলে
জলে গেলে জ্বলে দ্বিগুণ
নিভে না– না নিভে না
ক্ষিতি অপ তেজ মরুৎ ব্যোম
কোনখানে পাইনে তোমার ঠিকানা
পাগল বিজয় বলে চিত্ত চোর
ফিরবে কি জীবনে মোর
মনে রইলে ব্যথা ভরা বাসনা।
তুমি জানো না রে প্রিয়
তুমি জানো না রে প্রিয়, তুমি মোর জীবনের সাধনা।
তোমায় প্রথম যেদিন দেখেছি, মনে আপন মেনেছি,
তুমি বন্ধু আমার বেদন বোঝ না।
সেদিন,
ফাল্গুন দোল পূর্ণিমায়,
মধুর মৃদুল বায়
ফুলবনে পুলকের আল্পনা।
মধুর মাধবী রাতে, বঁধুয়া তোমারি সাথে,
করেছিলাম সেই যামিনী যাপনা।
তুমি,
চলে গেলে আমায় ফেলে
কি আগুন এই বুকে জ্বেলে,
একদিনও দেখিতে তুমি এলে না।
তোমায়, পেলে মোর দুঃখের কুটিরে
দেখাইতাম বক্ষ চিরে,
বুকের জ্বালা মুখে বলা চলে না।
যেমন,
কাষ্ঠযোগে দাবানল
জ্বালিয়ে পোড়ায় বন জঙ্গল,
মন পোড়ানো আগুন বন্ধু তাহা নয়।
কত বিরহিনীর অন্তর তলে
বিনা কাষ্ঠে আগুন জ্বলে।
জলে গেলে জ্বলে দ্বিগুণ
নিভে না।
আমি,
ঘুরে জনম-জনমে,
ক্ষিতি-অপ-তেজ-মরুৎ-ব্যোমে
খুঁজে ফিরি তোমারই ঠিকানা।
পাগল বিজয় বলে চিত্তচোর
আসবে কি জীবনে মোর,
মনে রইলে ব্যথাভরা বাসনা।