কৃষ্ণ বিরহিনী রাই বলেও ললিতা ও বিশাখাকাল আসবে বলে আমায়বঁধু গেল মথুরায়

(প্রান গোবিন্দ বৃন্দাবন ছেড়ে
মথুরায় চলে যাবার পর)
কৃষ্ণ বিরহিনী রাই বলে
ও ললিতা ও বিশাখা
কাল আসবে বলে আমায়
বঁধু গেল মথুরায়
আর তো ব্রজে এলো নারে
হরি গেও মধুপুর হাম কুলবালা
বিপথে পড়ল যৈছে
মালতীর মালা মালতীর মালা।
(প্রান গোবিন্দ বৃন্দাবন ছেড়ে
চলে যাবার পর
রাধা রানীর অবস্থা
আজ পথে পড়ে থাকা
মালতী মালার মত অবস্হা।
তাই তিনি তার
সখীদের বলছেন)
সখী বিপথে দশা,তেমনি হলো গো
আমার দশা তেমনি হলো গো
আমার দশা
মালতী মালা যেমন,আমার দশা
মালতী মালা যেমন,আমার দশা
তেমনি হলো গো।
বিপথে পড়ল যৈছে
মালতীর মালা মালতীর মালা।
সখী আমি কি কহসি কি পুছসি
শুন প্রিয় সজনী
কৈছনে বঞ্চব হাম,ইহ দিন-রজনী
কৈছনে বঞ্চব হাম,ইহ দিন-রজনী
রয়ে রয়ে কথা মনে পড়ে
আমার রয়ে রয়ে কথা মনে পড়ে
আমি কিবা ছিলাম
আজ কিবা হলাম
রয়ে রয়ে কথা মনে পড়ে।
আমি ছিলাম কৃষ্ণধনে ধ্বনি
আমি ছিলাম কৃষ্ণধনে ধ্বনি
আমি এখন হলাম কাঙ্গালিনী
ওগো সার হল আমার কৃষ্ণ ধ্বনি
আমি এখন হলাম কাঙ্গালিনী
আমি ছিলাম কৃষ্ণধনের ধ্বনি।
সখী নয়নক নিন্দ গেও বয়নক হাস
নয়নক নিন্দ গেও বয়নক হাস
সুখ গেও পিয়া-সঙ্গ দুখ হাম পাশ
সুখ গেও পিয়া-সঙ্গ দুখ হাম পাশ
জনম যাবে আমার কাঁদিতে কাঁদিতে
জনম যাবে আমার কাঁদিতে কাঁদিতে
জনম যাবে
ওগো হা কৃষ্ণ হা কৃষ্ণ বলে
কাঁদিতে কাঁদিতে
হা কৃষ্ণ হা কৃষ্ণ বলে কাঁদিতে কাঁদিতে।
ভনয়ে বিদ্যাপতি শুন বরনারী
সুজনক দুখ দিবস দুই-চারি
সুজনক দুখ দিবস দুই-চারি
আসবে মাধব আসবে মাধব
এই বৃন্দাবনে আসবে মাধব
এই বৃন্দাবনে আসবে মাধব
তুমি ওমন করে আর কেঁদোনা
এই বৃন্দাবনে আসবে মাধব
তুমি ওমন করে আর কেঁদো না
ওগো দুই-চারি দিবস মাঝে
তুমি ওমন করে আর কেঁদো না
ওগো দুই-চারি দিবস মাঝে
এই বৃন্দাবনে আসবে মাধব।
পদকর্তা-বিদ্যাপতি ঠাকুর
শিল্পী-অদিতি মুন্সী
Share on

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *