দৈনন্দিন নিত্যকর্ম ও আচার পালনের ক্ষেত্রে হিন্দুদের প্রয়োজনীয় মন্ত্রসমূহ
All Hindu Mantra
(ওঁ উচ্চারণ করে মন্ত্র পাঠ শুরু করা উচিত)
সকল কাজ শুরু করার আগে বলতে হয়
ওঁ তৎ সৎ।
বাড়ি থেকে রওয়ানা দেওয়ার আগে বলতে হয়
ওঁ সর্বমঙ্গলমঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থসাধিকে।
শরণ্যে ত্র্যম্বকে গৌরি নারায়ণি নমোহস্তুতে।
বা ‘দুর্গা, দুর্গা, দুর্গা’।
সরলার্থ: হে সর্বমঙ্গলদায়িনী, কল্যাণময়ী, সর্বার্থপ্রদানকারিণী, আশ্রয়-স্বরূপিণী, ত্রিনয়না, হে গৌরী, নারায়ণী, তোমাকে নমস্কার।
পিতৃস্তুতি
ওঁ পিতা স্বর্গঃ পিতা ধর্ম পিতাহি পরমং তপঃ।
পিতরি প্রীতিমাপত্রে প্রিয়ন্তে সর্বদেবতা।।
সরলার্থ: পিতা স্বর্গ, পিতাই ধর্ম, পিতাই পরম তপস্যা। পিতাকে খুশি করলে সকল দেবতা খুশি হন।
মাতৃপ্রণাম মন্ত্র
ওঁ যৎ প্রসাদাৎ জগৎদৃষ্টং পূর্ণকামো যদাশীষা।
প্রত্যক্ষ দেবতায়ৈ মে তুভ্যং মাত্রে নমো নমঃ।
সরলার্থ: যাঁর প্রসাদে এ জগতে দেখতে পাচ্ছি, যাঁর আশীর্বাদে সমস্ত কামনা পূর্ণ হয়, সে মা প্রত্যক্ষ দেবতা স্বরূপা। তাই মাকে বার বার নমস্কার জানাই।
রাতের ঘুমানোর সময়
ওঁ শ্রী পদ্মনাভায় নমো নমঃ।
তুলসী গাছে জল দিবার মন্ত্র
ওঁ গোবিন্দ-বল্লভাং দেবীং ভক্ত-চৈতন্যকারিণীং।
স্নাপয়ামি জগদ্ধাত্রীং বিষ্ণুভক্তি-প্রদায়িনীং।
তুলসী প্রদক্ষিণ মন্ত্র
ওঁ যানি কানি চ পাপানি ব্রহ্মাহত্যাদিকানি চ।
তানি তানি প্রণশ্যন্তি প্রদক্ষিণ পদে পদে।
তুলসী প্রণাম মন্ত্র
ওঁ বৃন্দায়ৈ তুলসী দেব্যে প্রিয়ায়ৈ কেশবস্য চ।
কৃষ্ণভক্তিপ্রদে দেবী। সত্যবত্যৈ নমো নমঃ।
বিল্বপত্র (বেলপাতা) চয়ন মন্ত্র
ওঁ পূণ্যবৃক্ষ মহাভাগ মাদুর শ্রীফল প্রভো।
মহেশপূজনার্থায় তৃৎপাত্রাণি চিনোম্যহম।
(টিকা- চক্রশূন্য, ছিদ্রহীন এবং বৃন্তযুক্ত ত্রিপত্র সমন্বিত বিল্বপত্র চয়ন করিতে হইবে।)
দূর্ব্বা চয়ন মন্ত্র
ওঁ মহন্ত্রপরমা দেবী শতমূলা শতাঙ্কুরা।
সর্ব্বৎ হরতু মে পাপং দূর্ব্বা দুঃস্বপ্ননাশিনী ।
তুলসী পাতা চয়ন মন্ত্র
ওঁ তুলস্যমৃতজন্মাসি সদত্বং কেশবপ্রিয়া।
কেশবার্থে চিনোমিত্বাং বরদা ভব শোভনে।
(বিঃদ্রঃ- দ্বাদশী, পূর্ণিমা, অমাবস্যা, রাত্রিকাল, স্বায়ংকাল ও সংক্রান্তি দিবসে তুলসীপত্র চয়ন করা যাবে না।)
ঘুম থেকে উঠে বিছানায় বসে মন্ত্রপাঠ
ব্রহ্ম মুরারি থ্রিপুরান্তকারী ভানুঃ শশী ভূমিসূতো বুধশু।
গুরুশ শুক্রঃ শনি রাহু কেতুর্বস্তু সর্বে মম সুপ্রভাতম।
সরলার্থ: ব্রহ্ম, মুরারি (বিষ্ণু), ত্রিপুরাস্তকারী (শিব), সূর্য, চন্দ্র, বুধ, শুরু, শুক্র, শনি, রাহু, কেতু-সকলে আমার প্রভাতটি সুন্দর করুন।
অতঃপর ভূমি স্পর্শ করে নিম্ন মন্ত্র বলুন-
ওঁ প্রিয়দত্তায়ৈ ভূম্যৈ নমঃ।
অর্থ: স্নেহময়ী ও সহিষ্ণুতার প্রতীক ভূমিকে প্রণাম করি।
জলশুদ্ধি
(জল পান করা বা কোন সুকাজে ব্যবহার করার পূর্বে উহা নিম্ন মন্ত্রে। শুদ্ধ করে নিতে হয়।)
ওঁ আপো জ্যোতিঃ রসঃ অমৃতম ব্রহ্ম ভূঃ ভূবঃ স্বরোম।
সরলার্থ: পরমেশ্বর। এই জল জ্যোতি স্বরূপ, এই জলই রস। (আনন্দ) স্বরূপ এবং অমৃত ব্রহ্ম স্বরূপ। এই জল স্কুল, শুভ ও অতিসূক্ষ্ম জগৎ স্বরূপ। অথবা
স্নানমন্ত্র
ওঁ কুরুক্ষেত্রং গয়া গঙ্গা প্রভাসপুষ্করাণি চ।
তীর্থান্যেতানি পূণ্যানি প্রাতঃস্নানকালে ভবন্তিহ।
সরলার্থ: প্রভু! পবিত্র কুরুক্ষেত্র, গয়া, গঙ্গা, প্রভাস ও পুস্কর তীর্থের পূণ্য সকল এ স্নানের সময় লাভ হউক।
খাদ্য গ্রহণ মন্ত্র
ওঁ অন্নপতেহন্নস্য নো দেহানমীবস্য শুস্মি নঃ।
প্র-প্রদাতারং তারিষ উর্জং নো দেহী দ্বিপদে চতুষ্পদে।
সরলার্থঃ হে অন্নদাতা প্রভু! তোমার করুণায় এই অন্ন আমাদের রোগনাশক ও পুষ্টিবর্ধক হোক। জগতে অন্ন দানকারীদের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি হোক। সকল দ্বিপদী ও চতুষ্পদী প্রাণী অন্ন প্রাপ্য হোক।
অথবা,
ওঁ শ্রী জনার্দ্দনায় নমঃ।
কারো সুসংবাদ এর মন্ত্র
ওঁ য একবর্ণ বহুধা শক্তি যোগাদ বর্ণান অনেকান নিহিতার্থে দধ্যাতি।
বিচৈতি চান্তে বিশ্বমাদৌ স দেবঃ স নো বুদ্ধ্যা শুভয়া সংযুনজু।
সরলার্থ: যিনি নিরাকার, প্রয়োজনে বহুরুপ ধারণ করেন, আদিতে বিশ্ব যা হতে উদ্ভুত এবং অন্তে বিশ্ব যাতে লীন হয়ে যায় সেই পরম দেবতা আমাদের শুভবুদ্ধি প্রদান করুন।
অথবা-
হরিবল। হরিবল। হরিবল।
জন্মসংবাদ শুনলে মন্ত্র
(কারো জন্ম সংবাদ শুনলে ৩ (তিন) বার বলতে হয়।)
ওঁ আয়ুষ্মান ভব।
দুঃসংবাদ শুনলে
কারো দুঃসংবাদ শুনার সঙ্গে সঙ্গে বলতে হয়:
ওঁ আপদং অপবাদশ্চ অপসরঃ।
মৃত্যু সংবাদ শুনলে মন্ত্র
মৃত্যু সংবাদ শুনলে সঙ্গে সঙ্গে বলতে হয়:
ওঁ তস্য আত্মানস্য সদাতি ভব।
অথবা, দিব্যান, লোকান সঃ গচ্ছতুঃ ।
অথবা (দহেয়ং সর্বগাত্রানি)
মুখশুদ্ধি ও দেহশুদ্ধি মন্ত্র
মুখশুদ্ধি:
ওঁ বিষ্ণু, ও বিষ্ণু, ও বিষ্ণু (জলসহ)
দেহগুদ্ধি:
ওঁ অপবিত্রঃ পবিত্রোবা সর্বাবস্থাং গতোপিবা।
যঃ স্মরেৎ পুন্ডরীকাক্ষং স বাহ্যাভ্যন্তরঃ শুচিঃ।
সরলার্থ: পবিত্র বা অপবিত্র যে কোন অবস্থাতেই (পুন্ডুরীকাক্ষং) শ্রীবিষ্ণুর নাম স্মরণ করলে বাহির ও ভিতর পবিত্র হয়ে যায়। সে বিষ্ণুকে পূনঃ পূনঃ প্রণাম।
গুরু প্রণাম মন্ত্র
অজ্ঞান-তিমিরান্ধস্য জ্ঞানাঞ্জন শলাকয়া।
চক্ষুরুন্মীলিতং যেন তস্মৈ শ্রীগুরবে নমঃ।
সরলার্থ: যিনি অজ্ঞান-অন্ধকারাচ্ছন্ন (অজ্ঞানরূপ তিমির রোগের দ্বারা অন্ধ) শিষ্যের চক্ষু জ্ঞানরূপ অঞ্জন শলাকা দিয়ে উন্মীলিত করেন, সে গুরুদেবকে প্রণাম।
অখন্ডমন্ডলাকারং ব্যাপ্তং যেন চরাচরম্।
তৎপদং দর্শিতং যেন তস্মৈ শ্রীগুরবে নমঃ ।
সরলার্থ: যাঁর দ্বারা অখন্ড মন্ডলাকার এ চরাচর জগৎ ব্যাপ্ত হয়ে আছে, তাঁর স্বরূপ যিনি দর্শন করিয়ে দেন, সে গুরুদেবকে প্রণাম।
স্নান করার আগের মন্ত্র
স্নানের পূর্বে নিম্নোক্ত মন্ত্র পাঠ করে জলে তীর্থ আহবাহনপূর্বক স্নান করতে হবে।
ওঁ গঙ্গে চ যমুনেচৈব গোদাবরি সরস্বতী।
নর্মদে সিন্ধো কাবেরি জলেহস্মিন সন্নিধিং কুরু।
বই পড়ার আগের মন্ত্র
(দেবী সরস্বতীকে প্রণাম করে পড়া শুরু করতে হবে।)
ওঁ সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে।
বিশ্বরূপে বিশালাক্ষি বিদ্যাং দেহি নমোহস্তুতে।
সরলার্থ: হে মহাভাগ সরস্বতী, বিদ্যাদেবী, কমলনয়না, বিশ্বরূপা, বিশালাক্ষী আমাকে বিদ্যা দাও। তোমাকে নমস্কার।
একাদশী পারণের মন্ত্র
প্রাতঃস্নাতা হরিৎ সত্তত্তা উপবাসং সমর্পয়ৎ।
পারনন্ত ততঃ কুর্যাদ ব্রত সিদ্ধৈহরিৎ স্মরণং।
প্রাতঃস্নান করে একটু জল হাতে নিয়ে-
ওঁ অজ্ঞান তিমিরান্ধস্য ব্রতনানেন কেশব।
প্রসীদ সুমুখোনাথ জ্ঞান দৃষ্টিপ্রদো ভব।
পাঠ পূর্বক জল পান করতে হয়। এরপর স্বাভাবিক খাবার গ্রহণ করে একাদশী পারণ করার বিধান।
ভাই ফোঁটার মন্ত্র
ভাই-এর কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা।
যমুনা দেন যমকে ফোঁটা, আমি দিই আমার ভাইকে ফোঁটা।।
(বি: দ্র: ভাইফোঁটা হচ্ছে ভাইবোনের মধুর সম্পর্কের বহিঃপ্রকাশ। অগ্রহায়ণ মাসের ভ্রাতৃ দ্বিতীয়া তিথিতে বোন ভাই-এর দীর্ঘ জীবন কামনা করে ভ্রাতৃললাটে তিলকের ফোঁটা দেয়।)
বিপদ কালে বলতে হয়
ওঁ মধুসূদনায় নমঃ। ওঁ মধুসূদনায় নমঃ। ওঁ মধুসূদনায় নমঃ।
গৃহে প্রবেশকালে বলতে হয়
ওঁ বাস্তু পুরূষায় নমঃ ॥
শৌচাগারে প্রবেশকালে বলতে হয়
ওঁ আজ্ঞা কুরু বসুন্ধরা।
কোন কারণে ভীত হলে বলতে হয়
রাম। রাম। রামাঅথবা ওঁ বিষ্ণু, ওঁ বিষ্ণু, ওঁ বিষ্ণু।
কারো কুকর্ম, নিন্দা, মিথ্যা, কারো সম্পর্কে কুৎসা শুনলে বলতে হয়
রাম। রাম। রাম। অথবা ওঁ বিষ্ণু, ওঁ বিষ্ণু, ওঁ বিষ্ণু।
বাড়ী থেকে পদব্রজে গমণকালে বলতে হয়
কৃষ্ণ কেশব, কৃষ্ণ কেশব, কৃষ্ণ কেশব ত্রাহি মাং।
রাম রাঘব, রাম রাঘব, রাম রাঘব, রক্ষ মাং।
যানবাহনে আরোহনকালে বলতে হয়
ওঁ নারায়ণ। ওঁ নারায়ণ। ওঁ নারায়ণ।
প্রবাসে যাওয়ার সময় বলতে হয়
ওঁ ত্রিবিক্রম। ওঁ ত্রিবিক্রম। ওঁ ত্রিবিক্রম।
ঔষধ সেবনকালে বলতে হয়
ওঁ বিষ্ণু। ওঁ বিষ্ণু! ওঁ বিষ্ণু।
রোগে আক্রান্ত হলে বলতে হয়
ওঁ প্রসীদ পরমানন্দ প্রসীদ পরমেশ্বর।
আধি-ব্যাধি ভূজাঙ্গনে দষ্টং মামুদ্ধর প্রভো।
যুদ্ধকালে বলতে হয়
ওঁ চক্রধর। ওঁ চক্রধর। ওঁ চক্রধর।
মৃত্যুকালে বলতে হয়
ওঁ নারায়ণ। ওঁ নারায়ণ। ওঁ নারায়ণ।
বনপথে গমনকালে বলতে হয়
ওঁ নৃসিংহদেব। ওঁ নৃসিংহদেব। ওঁ নৃসিংহদেব।
অগ্নি ভয়ে বা আগুনের ভয়ের সময় বলতে হয়
ওঁ জলশায়িনম। ওঁ জলশায়িনম। ওঁ জলশায়িনম।
বিবাহকালে বলতে হয়
ওঁ প্রজাপতে। ওঁ প্রজাপতে। ওঁ প্রজাপতে।
পর্বত গমনকালে বলতে হয়
ওঁ রঘুনন্দনম্। ওঁ রঘুনন্দনম। ওঁ রঘুনন্দনম।
কোন ব্যক্তির সাথে দেখা হলে বলতে হয়
(দুই হাত জোড় করে বুকের কাছে হাত নিয়ে এসে) ‘নমস্কার’।
সর্ব কার্যে বলতে হয়
হরে কৃষ্ণ।
অথবা,
ওঁ মাধব। ওঁ মাধব। ওঁ মাধব।
পবিত্র হওয়া
ক. দুই হাত ভাল করে ধৌত করা।
খ. দুই পা ভাল করে ধৌত করা।
গ. মুখমন্ডল ধৌত করা।
ঘ. মুখের ভিতর জল দিয়ে কুলকুচি করা, নাসা অভ্যন্তর, কর্ণ, বাহ্যাভ্যন্তর জল দিয়ে ভাল করে পরিষ্কার করা।
৫. মাথার উপর জল ছিটিয়ে তিন বার বলতে হবে- ওঁ বিষ্ণু, ওঁ বিষ্ণু, ওঁ বিষ্ণু।
গায়ত্রী মন্ত্র
ওঁ ভূর্ভুবঃ স্বঃ
তৎ সবিতুর্বরেণ্যং
ভর্গো দেবস্য ধীমহি
ধিয়ো য়ো নঃ প্রচোদয়াৎ।। (ঋগ্বেদ-৩/৬২/১০)
সরলার্থ: যিনি বিশ্বের সৃষ্টি-স্থিতি-লয়ের কারণস্বরূপ, যিনি সৎ-চিৎ-আনন্দ এবং আমাদের বুদ্ধির প্রেরণাদাতা, সেই সদা লীলাময় জগৎ স্রষ্টা পরমেশ্বরের বরণীয় জ্যোর্তিময় তেজকে বা রূপকে আমরা ধ্যান করি। আমরা প্রার্থনা করি, তিনি যেন আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিকে সর্বদা কল্যাণময় কার্যে নিয়োজিত করেন।
সূর্য প্রণাম মন্ত্র
ওঁ জবাকুসুম সঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদুউতিম।
ধ্বান্তারিং সর্বপাপঘ্নং প্রণতোহস্মি দিবাকরম্।
সরলার্থ: কশ্যপের পুত্র, জবা ফুলের মতো রক্তবর্ণ, মহাদ্যুতিময়, অন্ধকার দূরকারী, সর্বপাপ বিনাশকারী সূর্যকে আমি প্রণাম জানাই।
মহামন্ত্র/তারকব্রহ্মনাম
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।
শ্রীশ্রী কৃষ্ণ প্রণাম মন্ত্র
হে কৃষ্ণ করুণাসিন্ধো দীনবন্ধো জগৎপতে।
গোপেশ গোপিকাকান্ত রাধাকান্ত নমোহস্তুতে।
সরলার্থ: হে কৃষ্ণ! আপনি করুণার সাগর, দীন-বন্ধু, জগদীশ্বর, গোপদের ঈশ্বর, এবং শ্রীরাধা ও গোপিনীদের প্রাণপ্রিয়, আপনাকে প্রণাম করি।
পুষ্প শুদ্ধি মন্ত্র
“পুষ্পে পুষ্পে মহাপুষ্পে সুপুষ্পে পুষ্পসম্ভবে,
পুষ্পচয়া বকীর্ণে হুঁ ফট স্বাহা”।
এই বলিয়া পুষ্পের উপর চন্দন দিতে হবে।
কর শুদ্ধি মন্ত্র
গন্ধ পুষ্প লইয়া
“ঐংবং অবস্থায় ফট” এ মন্ত্রে দুই হস্তে ঘর্ষন করতঃ অঘ্রাণ লইয়া বামদিকে নিক্ষেপপূর্বক গঙ্গাজলের ছিটা দিতে হয়।
আসন শুদ্ধি মন্ত্র
ওঁ অস্য আসনমন্ত্রস্য মেরুপৃষ্ঠ ঋষিঃ সুতলং ছন্দঃ কর্মোদেবতা আসনোপবেশনে বিনিয়োগঃ।
(হাত জোড় করিয়া)
ওঁ পৃথ্বি ত্বয়া ধৃতা লোকা দেবি ত্বং বিষ্ণুনাং ধৃতা।
তুংচ ধারয় মাং নিত্যং পবিত্রমাসনং করু।
ক্ষমা প্রার্থনা মন্ত্র
ওঁ যদক্ষরং পরিভ্রষ্টং মাত্রাহীনঞ্চ যদ ভবেৎ।
পূর্ণং তৎ সর্বং ভবতু ত্বৎপ্রসাদাৎ জগদগুরো।
সরলার্থ: এ মন্ত্র পাঠকালে আমার যে যে অক্ষরাদি পরিভ্রষ্ট বা চ্যুত হয়েছে এবং যা যা মাত্রাহীন বা ছন্দপতনাদি ত্রুটি হয়েছে, হে জগদগুরু ভগবান আচার্যদেব, তোমার কৃপায় সে সমস্তই পূর্ণ হউক।