এমন উদাস করা সুরে এখন আর কে গাইতে পারে! গানের পাখিখ্যাত সিলেটের বিখ্যাত লোকশিল্পী প্রয়াত চন্দ্রাবতী রায় বর্মণ গানটি গেয়েছিলেন ২০১০ সালের ৯ জানুয়ারি শক্তিগড়, যাদবপুর, কলকাতার ‘বাউল ফকির উৎসব’-এ। এই বয়সেও কী অসাধারণ গায়কী ছিলো গানের পাখির! আহা!
চণ্ডীদাসের গান
—————-
ধৈর্য না ধরিতে পারি না সহিতে
অনুরাগে তনু ঝরে।
আমার কৃষ্ণ পিপাসায়, যায় যায় প্রাণ যায়
ধরো গো আমারে ধরো সইগো।।
গঙ্গাজল মৃত্তিকা তুলসী পাতা
লেপো গো রাধারই অঙ্গে।
দেখো শ্যামের চিত্রপট রাখিও নিকট
মরিতে যে জন রহে সঙ্গে সইগো।।
দেহ সমাধি না দিও, দেহ না পুড়িও
দেহ না ভাসাইও জলে।
দেখবা তোমরা সবে মিলিয়ে
ওই তরুমূলে, বাঁধিও তমালের ডালে সইগো।।
যদি কোনো ছলে ওই তরুমূলে
আসে গো চিকন কালা।
দেখো মৃত্যু গন্ধ পাইয়া, যদি চায় ফিরিয়া
ঘুচিবে বিরহ জ্বালা সইগো।।
কহে চণ্ডীদাসে শুনো গো যুবতী
পিরিতি রসের সার।
পিরিতি করিয়া যে জন যায় মরিয়া
সাফল্য জীবন তার সইগো।।