ধৈর্য না ধরিতে পারি Lyrics | Dhairjya Na Dhorite Pari Lyrics | চণ্ডীদাসের গান

ধৈর্য না ধরিতে পারি Lyrics
Dhairjya Na Dhorite Pari Lyrics
চণ্ডীদাসের গান
Singer : Sebanti Das
Music Arrangement – Soham Bhowmik
Bangla Dhol & Percussions – Rupam Mandal
Banjo, Mandolin, Dotara, Flute & Sound Programming – Soham Bhowmik
Recording, Mixing , Mastering – Durgesh Prasad, Studio RS
Instruments dubbing – Mahul Studio
এমন উদাস করা সুরে এখন আর কে গাইতে পারে! গানের পাখিখ্যাত সিলেটের বিখ্যাত লোকশিল্পী প্রয়াত চন্দ্রাবতী রায় বর্মণ গানটি গেয়েছিলেন ২০১০ সালের ৯ জানুয়ারি শক্তিগড়, যাদবপুর, কলকাতার ‘বাউল ফকির উৎসব’-এ। এই বয়সেও কী অসাধারণ গায়কী ছিলো গানের পাখির! আহা!

ধৈর্য না ধরিতে পারি Lyrics

ধৈর্য না ধরিতে পারি না সহিতে
অনুরাগে তনু ঝরে।
আমার কৃষ্ণ পিপাসায়, যায় যায় প্রাণ যায়
ধরো গো আমারে ধরো সইগো।।
গঙ্গাজল মৃত্তিকা তুলসী পাতা
লেপো গো রাধারই অঙ্গে।
দেখো শ্যামের চিত্রপট রাখিও নিকট
দেহ সমাধি না দিও, দেহ না পুড়িও
দেহ না ভাসাইও জলে।
দেখবা তোমরা সবে মিলিয়ে
ওই তরুমূলে, বাঁধিও তমালের ডালে সইগো।।
যদি কোনো ছলে ওই তরুমূলে
আসে গো চিকন কালা।
দেখো মৃত্যু গন্ধ পাইয়া, যদি চায় ফিরিয়া
ঘুচিবে বিরহ জ্বালা সইগো।।
কহে চণ্ডীদাসে শুনো গো যুবতী
পিরিতি রসের সার।
পিরিতি করিয়া যে জন যায় মরিয়া
সাফল্য জীবন তার সইগো।।

Dhairjya Na Dhorite Pari Lyrics

Dhairjya na dhorite pari na sohite
Onurage tonu jhore.
Amar krishno pipashay, jay jay pran jay
Dhoro go amare dhoro soigo.

Gongajol mrittika tulsi pata
Lepo go radharoi onge.
Dekho shyamer chittropot rakhio nikot
Morite je jon rohe songe soigo.

Deho somadhi na dio, deho na purio
Deho na bhashaio jole.
Dekhba tomra sobe miliye
Oi torumule, bandhio tamaler dale soigo.

Jodi kono chhole oi torumule
Ase go chikon kala.
Dekho mrityu gondho paiya, jodi chay phiriya
ghuchibe biroho jwala soigo.

Kohe chandidase shuno go juboti
Piriti roser shar.
Piriti koriya je jon jay moriya
Saphalya jibon tar soigo.

ধৈর্য না ধরিতে পারি Lyrics – চণ্ডীদাসের প্রেম গাথা

গান: ধৈর্য না ধরিতে পারি (Dhairjya Na Dhorite Pari) গীতিকার: চণ্ডীদাস (Chandidas) শিল্পী: সেবন্তী দাস (Sebanti Das) সঙ্গীত আয়োজন: সোহম ভৌমিক (Soham Bhowmik) ধরন: লোকগীতি, বাউল

রাধার গভীর প্রেম ও বিরহের আকুতি: “ধৈর্য না ধরিতে পারি”

“ধৈর্য না ধরিতে পারি” গানটি মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের এক কালজয়ী নিদর্শন, যা বৈষ্ণব কবি চণ্ডীদাস-এর অমর সৃষ্টি। এটি রাধা-কৃষ্ণের প্রেমলীলার এক গভীরতম অভিব্যক্তি, যেখানে রাধা তাঁর প্রিয় কৃষ্ণকে কাছে না পাওয়ার যন্ত্রণায় আকুল হয়ে উঠেছেন। গানের প্রতিটি ছত্রে রাধার বিরহ-বেদনা, তাঁর কৃষ্ণ পিপাসা এবং সেই বিরহ থেকে মুক্তি পাওয়ার ব্যাকুলতা অত্যন্ত মর্মস্পর্শীভাবে ফুটে উঠেছে।

আধুনিক সময়ে এই গানটি শিল্পী সেবন্তী দাস-এর হৃদয়স্পর্শী কণ্ঠে নতুন করে প্রাণ পেয়েছে। সোহম ভৌমিকের সঙ্গীত আয়োজনে গানটি তার চিরায়ত আবেদনকে ধরে রেখেও এক নতুন মাত্রা লাভ করেছে। গানের কথায় রাধা বলছেন, তাঁর ধৈর্য শেষ হয়ে গেছে, অনুরাগে তাঁর শরীর যেন ঝরে পড়ছে। কৃষ্ণকে কাছে না পাওয়ার যন্ত্রণায় তাঁর প্রাণ যায় যায় অবস্থা। তিনি তাঁর সখীদের কাছে অনুরোধ করছেন তাঁকে যেন গঙ্গাজল ও তুলসী দিয়ে সেবা করা হয় এবং তাঁর পাশে যেন কৃষ্ণের ছবি রাখা হয়। এই গানটি সেইসব বিরহী হৃদয়ের প্রতিচ্ছবি, যারা ভালোবাসার মানুষের জন্য সব কষ্ট সহ্য করে।

গানের শেষের দিকে রাধার আকুতি আরও তীব্র হয়ে ওঠে। তিনি সখীদের বলছেন, মৃত্যুর পর যেন তাঁর দেহ পোড়ানো বা জলে ভাসানো না হয়, বরং তমাল গাছের ডালে বেঁধে রাখা হয়। কারণ যদি কোনোদিন কৃষ্ণ সেই পথ দিয়ে যান এবং রাধার প্রেমের গন্ধ পান, তবেই তাঁর বিরহ জ্বালা দূর হবে। চণ্ডীদাস শেষ পঙক্তিতে বলছেন, যারা ভালোবাসা নিয়ে জীবন উৎসর্গ করে, তাদের জীবনই সফল। এই গানটি কেবল একটি বিরহের গান নয়, এটি প্রেমের গভীরতা ও আত্মত্যাগের এক অনন্য দৃষ্টান্ত।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ)

১. “ধৈর্য না ধরিতে পারি” গানের মূল রচয়িতা কে? উত্তর: এই গানের মূল রচয়িতা হলেন বৈষ্ণব কবি চণ্ডীদাস

২. এই গানটি কোন ধরনের গান? উত্তর: এটি একটি ঐতিহ্যবাহী লোকগীতি, যা রাধা-কৃষ্ণের প্রেমকাহিনী অবলম্বনে রচিত। এটি প্রায়শই বাউল বা লোকগানের ধারায় গাওয়া হয়।

৩. এই গানের মূল বিষয়বস্তু কী? উত্তর: গানটির মূল বিষয়বস্তু হলো শ্রীরাধার কৃষ্ণকে পাওয়ার জন্য তীব্র বিরহ ও আকুলতা। এটি প্রেমের গভীরতা এবং আত্মত্যাগের এক শক্তিশালী প্রকাশ।

৪. ইউটিউবে প্রকাশিত এই গানটির শিল্পী কে? উত্তর: ইউটিউবে প্রকাশিত গানটির শিল্পী হলেন সেবন্তী দাস

৫. গানটিতে রাধা তাঁর মৃত্যুর পর কী করার জন্য অনুরোধ করছেন? উত্তর: রাধা তাঁর সখীদের অনুরোধ করছেন যেন তাঁর মৃত্যুর পর দেহ পোড়ানো বা জলে ভাসানো না হয়, বরং একটি তমাল গাছের ডালে বেঁধে রাখা হয়, যাতে কৃষ্ণের স্পর্শ পেলে তাঁর বিরহ শেষ হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *