তোরা কান্দোস ক্যান
অ্যালবামঃ চৌদ্দ নম্বর গুদাম
কথা ও সুরঃ নকুল কুমার বিশ্বাস
(বাবা মৃত্যুশয্যায়।ছেলে-মেয়েরা কান্নাকাটি করছে।মৃতপ্রায় বাবা বড় ছেলের কানে কানে
বিড় বিড় করে কিছু বলছেন।বড় ভাই ছোট
ভাই-বোনদের সান্ত্বনা দিচ্ছে।)
বড় ভাইঃ তোরা কান্দস ক্যান?
বাবার এখনও হুঁশ আছে
হারায় নাই রে জ্ঞান।
তোরা কান্দস ক্যান?
(বাবা আবারও বড় ছেলের
কানে কানে কিছু বললেন-)
মেজ ভাইঃ বাবায় কানে
কানে কি কইলো?
বড় ভাইঃ পশ্চিম পাড়ার চান্দু চাচা
চাকরি করে ঢাকা
তার কাছে বাজানে পাইবো
চারশ চব্বিশ টাকা
সেই টাকার কথা বাজান
এখনো যায় নাই ভুলে
ভাগ করিয়া নিতে কইলো
টাকা গুলো তুলে
বাবার এখনো হুঁশ আছে
হারায় নাই রে জ্ঞান
তোরা কান্দস ক্যান?
ছোট বোনঃ বাবায় আবার কি কইলো?
বড় ভাইঃ লেখ্
গেদুর বাপ দুইশ তিরিশ
ফেদুর মা একশ উনিশ
কাশীদাস আশি টাকা
বৈদ্যনাথ চৌদ্দ টাকা
বার টাকা ছয় আনা কানা আবুল
তের টাকা নয় আনা ঠ্যানা বাবুল
তিনশ’ তেপ্পান্ন ট্যারা ঝন্টু
একশ’ একান্ন ন্যাড়া মন্টু
ঠ্যাডা নান্টু নব্বই টাকা
নিয়েছিল ধার
মরি মরি করেও মনে
আছে তা বাবার
বাবার এখনো হুঁশ আছে
হারায় নাই রে জ্ঞান
তোরা কান্দস ক্যান?
(বাবা আবারো একইভাবে বড় ছেলের
কানে কানে বিড় বিড় করে কিছু বললেন)
সবাইঃ বাবায় এইবার কি কইলো?
বড় ভাইঃ বাবায় আর বাঁচব নারে
বাবায় এখন ভুল বকতাছে
উল্টা পাল্টা কথারে কইতাছে।
বড় বোনঃ ক্যান কি হইছে?
বড় ছেলেঃ পাইবো বাবার কাছে
বাজারের মহাজন হাজার তিন
ব্যাংকে বাবার আছে নাকি
তিরিশ হাজার ঋন
আবার সত্তর হাজার টাকা পাইবো
সাত্তার চেয়ারম্যান
তোরা কান্দস না ক্যান?
সবাইঃ আমরা কান্দি না ক্যান?
(বাবাকে জড়িয়ে বড় ভাই সহ
সবাই কান্নায় ভেঙে পড়ে।
এর মানে এই কান্নার মাঝেও
স্বার্থ লুকিয়ে আছে।)