(সেই মধু বৃন্দাবনে
মধুর মুরলী শ্রবনের পর
শ্রীযমুনার কূলে ত্রিভঙ্গ বংশীধারীকে
দর্শন করে রাধা রানী আমার
আজ কুঞ্জ অভিসারের অভিলাষী)
ও কি শ্যাম না শ্যামের ছায়া ?
বুঝি দিবসে স্বপন দেখেছি।
ও কি বঁধুর মধুর মায়া ?
যদি চাতকী মরিল তিয়াসে
কেন শ্যাম মেঘ চলে যায় ?
যার পিয়া অভিলাষ পরাণে
সেকি কিছু নাহি বলে যায় ?
(বলে গেল বৈকি রাই ধনি
কি বলে গেল সখি)
শোন শোন রাই ধনি
সে যে চতুরের শিরোমণি
তাই সঙ্কেতে গেল বলে
তব কুঞ্জ কুটীর দ্বারে
বঁধু আসিবে গো অভিসারে
রজনী নিশীথ হলে।
(এই কথা বলে সখীগণ
রাধারানীকে কুঞ্জ অভিসারের লাগি
সুসজ্জিত করতে লাগলেন)
আহা সাজো সাজো রাই,
তোমারে সাজাই,
শ্যাম সোহাগের ভূষণে।।
কালা মানিকের মালা পর সখী
সাজাও শ্যাম নীল বসনে।
আহা সাজো সাজো রাই
তোমারে সাজাই
শ্যাম সোহাগের ভূষণে
আহা সাজো সাজো রাই
তোমারে সাজাই।
কালা মানিকের কাজল দিলাম নয়নে,
শ্যাম নাম মণি কুণ্ডল দিনু শ্রবনে।।
মধুর অঙ্গ পরশ দিলাম
মিশায়ে অঘোর চন্দনে।
আহা সাজো সাজো রাই
তোমারে সাজাই
শ্যাম সোহাগের ভূষণে
আহা সাজো সাজো রাই
তোমারে সাজাই
শ্যাম সোহাগের ভূষনে।
কালা মানিকের মালা পর সখী
সাজো শ্যাম নীল বসনে।
আহা সাজো সাজো রাই
তোমারে সাজাই
শ্যাম সোহাগের ভূষনে।
আহা সাজো সাজো রাই
তোমারে সাজাই।
জয় জয় নিতাই গৌর প্রেমানন্দে
গৌর হরি হরি বোল
হরিবোল হরিবোল।
শ্রীরাধার মানভঞ্জন
কন্ঠ-অদিতি মুন্সি